শরীয়তপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৩১ জন যুক্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জনে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৬টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এদিকে শরীয়তপুরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গণপরিবহন সীমিতকরণ ও নিত্যপণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাদে সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন।
সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর থেকে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের লোকজন প্রতিটি বাজারে বাজারে টহল ও বাজার কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ওষুধ, কাচামাল, খাদ্য দ্রব্য ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান ব্যাতিত জেলার সকল শপিংমল, খাবারের হোটেলসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখারও নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সীমিত করা হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। অপর দিকে মঙ্গলবার দুপুর থেকে মাঠে টহলে নেমেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন, জেলায় ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরায় মঙ্গলবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৮২, নড়িয়ায় ১৩১ জন, জাজিরায় ৩৯ জন, ভেদরগঞ্জে ৪৬ জন, ডামুড্যায় ৪১ জন ও গোসাইরহাটে ২২ জনসহ মোট ৩৬১ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এদের প্রত্যেককেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সদর উপজেলায় ৭ জন, নড়িয়ায় ১২ জন, ভেদরগঞ্জে ১০ জন, ডামুড্যায় ৬ জন, জাজিরায় ৩ জন ও গোসাইরটে ১০ জনসহ সর্বমোট ৪৮ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় এসেছেন সদর উপজেলায় ৭ জন, নড়িয়ায় ৮ জন, জাজিরায় ৬ জন, ভেদরগঞ্জে ৪ জন, ডামুড্যায় ৫ জন ও গোসাইরহাটে ১ জনসহ সর্বমোট ৩১ জন।
Advertisement
আজ পর্যন্ত জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন হতে মোট অবমুক্ত হয়েছেন ২২৯ জন ও সর্বমোট হোম কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন ৫৮৯ জন।
তিনি আরও জানান, জেলায় ৩০টি আইসোলেশন শয্যা ও ১০০টি কোয়ারেন্টাইন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত কোন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়নি।
ছগির হোসেন/এমএএস/এমআরএম
Advertisement