করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ১৬ থেকে ৩১ মার্চ ঘরোয়া এবং ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সব খেলা স্থগিত করেছিল। কিন্তু প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার যেভাবে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক কবে হবে তা পুরোপুরি অনিশ্চিত।
Advertisement
ইতিমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এক বছর। মার্চেও আর আছে এক সপ্তাহ। এর মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণ তো নেই, উল্টো বাড়ার আশঙ্কাই করছে সবাই।
অবস্থা বুঝে আজ (মঙ্গলবার) বাফুফের প্রফেশনাল লিগ কমিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলো বাফুফের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে বাস্তবতার নিরিখে। এর বাইরে কিছু করারও নেই। কিন্তু লিগ যদি দীর্ঘ সময় স্থগিত থাকে তাহলে বিপাকে পড়বে ক্লাবগুলো।
সব ক্লাবই ইতিমধ্যে ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় ফুটবলার ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল সীমাবদ্ধ থাকায় ক্লাবগুলোর বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচ দেশে ফিরতে পারেননি। তারা ক্লাবগুলোর তত্ত্বাবধানেই আছেন।
Advertisement
কিন্তু কতদিন বিদেশিদের বসিয়ে বসিয়ে খরচ গুনবে ক্লাবগুলো? প্রসঙ্গটি আজকের প্রফেশনাল লিগ কমিটির সভায় উঠেছিল। ক্লাবগুলো যে ক্ষতির মুখে পড়বে সে শঙ্কার কথা লিগ কমিটিকে জানিয়েছে তারা। কিন্তু লিগ কমিটির কাছে তো কোনো সমাধান নেই। নেই কোনো আশার বাণী-কবে মাঠে নামাতে পারবে ফুটবল।
বিদেশি কোচ ও খেলোয়াড়দের চুক্তি শেষ হওয়ার আগে ছাড়তে হলে সমঝোতা বাধ্যতামূলক। সবকিছুই এখন নির্ভর করছে কবে নাগাদ এ পরিস্থিতির উন্নতি হয় তার ওপর।
প্রিমিয়ার লিগের ১৩ ক্লাবে ষাটের অধিক বিদেশি ফুটবলার আছে। কোচ, সহকারী কোচ ও ট্রেনার মিলিয়ে মোট বিদেশি সত্তরের ওপরে। লিগ স্থগিত থাকায় এই বিদেশি নিয়ে এখন বেকায়দায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো।
আরআই/এমএমআর/পিআর
Advertisement