কক্সবাজারে প্রথম করোনা আক্রান্ত নারী দেশে ফিরেই চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে ছেলের বাসায় ওঠেন। এরপর তিনি ছিলেন কক্সবাজারের খুটাখালী ও জেলা সদরের টেকপাড়ায় বড় ছেলে বাসায়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Advertisement
আজ করোনাভাইরাস শনাক্তের পর ওই নারীর গ্রামের বাড়ি ও তার আশপাশের এলাকা লকডাউন করা হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, তারা এখনো জানতে পারেননি চট্টগ্রামের কোন বাড়িতে ওই নারী অবস্থান করেছিলেন।
এলাকাবাসীর আশঙ্কা করোনা আক্রান্ত নারী গমনস্থল ও তার সংস্পর্শে আসা মানুষরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন, যা অনিরাপদ করে তুলছে চট্টগ্রাম শহরকে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসে আরও ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজনে।আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেলে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান। কক্সবাজারে প্রথম করোনা আক্রান্ত নারী ওই ৩৯ জনের একজন।
Advertisement
কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার চকরিয়ার মোসলিমা খাতুন (৭৫) ওমরাহ থেকে ফেরেন ১৩ মার্চ। এরপর তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম, খুটাখালী ও কক্সবাজার। ১৩ মার্চ দেশে ফিরে চট্টগ্রাম শহরের নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় ছোট ছেলের বাসায় অবস্থান করেন তিনি। পরদিন ১৪ মার্চ খুটাখালীর নিজ বাড়িতে যান। কিন্তু ১৭ মার্চ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নেয়া হয় কক্সবাজার শহরে।
ওইদিন তিনি শহরের টেকপাড়ায় বড় ছেলের বাসায় ওঠেন এবং জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই রোগীকে ১৮ মার্চ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার অসুস্থতার ধরন দেখে নমুনা পরীক্ষার জন্য ২২ মার্চ পাঠান রাজধানীর আইইডিসিআরে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ওই নারীর করোনাভাইরাসের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহিউদ্দিন জানান, গত ১৮ মার্চ মোসলিমা খাতুন সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যেসব ডাক্তার-নার্স তাকে চিকিৎসা দিয়েছেন, তাদের সবাইকে কোয়েরেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। ডা. মহিউদ্দিন নিজেও কোয়েরেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানান।
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকার মানুষরা মোসলিমা খাতুনের এলাকায় অবস্থানের খবরে নিজেরা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তারা বলেন, ওই নারী চান্দগাঁওয়ে ছিলেন কিন্তু এখনও কারো বাড়ি লকডাউন করা হয়নি।
Advertisement
এদিকে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ও সিভিল সার্জন জাগো নিউজকে জানান, কক্সবাজারের করোনা আক্রান্ত নারী চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকার কোন বাড়িতে ছিলেন সে তথ্য তারা এখনো পাননি। স্বাস্থ্য অধিদফতর বা প্রশাসন থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
আবু আজাদ/এএইচ/পিআর