কোয়ারেন্টাইন না মেনে করোনাভাইরাস ছড়ানো এবং করোনা নিয়ে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিলে মোবাইল কোর্টের (ভ্রাম্যমাণ আদালত) মাধ্যমে শাস্তি পেতে হবে।
Advertisement
এজন্য ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ এর তিনটি ধারা (২৪, ২৫ ও ২৬ ধারা) ‘মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯’ এর তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।
সংক্রামক রোগ আইনের ক্ষমতাবলে করোনাভাইরাসকে (কোভিড-১৯) সংক্রামক ব্যাধির তালিকাভুক্ত করে গেজেট জারির একদিন পরই এ আইনটি মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত হলো।
আইইডিসিআর’র মঙ্গলবারের (২৪ মার্চ) তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে আরও ছয়জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজনে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ জনে।
Advertisement
সংক্রামক রোগ আইন অনুযায়ী সংক্রামক রোগের বিস্তার এবং তথ্য গোপনের শাস্তি সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
দায়িত্ব পালনে বাধা ও নির্দেশ পালনে অসম্মতি জানানোর শাস্তি সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড।
যদি কোনো ব্যক্তি সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা ভুল তথ্য দেয় তাকে সর্বোচ্চ দুই মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী এখন শাস্তিগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালত দিতে পারবে।
Advertisement
আরএমএম/এএইচ/এমএস