জেলার শহরের তুলনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও আক্রান্তের সংখ্যা রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত বেশি। রাজধানীতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫। তাই চলমান করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতার অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
Advertisement
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পোস্টার, লিফলেট, মাইকিংসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে পুলিশ। থানা পুলিশের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কাজে সক্রিয় ট্রাফিক বিভাগ।
করোনা সচেতনতার অংশ হিসেবে ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ জনসাধারণের কল্যাণার্থে গুলিস্থানে একটি বেসিন স্থাপন করেছে। ফুলবাড়িয়া ট্রাফিক বক্সে পর্যাপ্ত পানি, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ এ বেসিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
ডিএমপির লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মনতোষ বিশ্বাস জানান, এ এলাকার মানুষকে সচেতন ও পরিচ্ছন্ন রাখতে ফুলবাড়িয়া ট্রাফিক বক্সে বেসিনটি স্থাপন করা হয়েছে। যাতে মানুষ জরুরি ভিত্তিতে বের হলেও পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন থাকার সুযোগ পান।
Advertisement
ফুলবাড়িয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গুলিস্তান বাস টার্মিনাল দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মমূখর এলাকা। প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। বাসস্ট্যান্ডের লোকজন ও পথচারীসহ সাধারণ যাত্রীরা গাড়িতে ওঠার আগে এবং গাড়ি থেকে নেমে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের ডিসি (পূর্ব) মো. সাহেদ আল মাসুদ জানান, পাঁচটি জোনের সহকারী পুলিশ সুপারদের কাছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার মতিঝিল, ডেমরা, ওয়ারী, সবুজবাগ, রামপুরা ট্রাফিক জোনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণসহ ট্রাফিক বক্সে বেসিন স্থাপন করেন।
ট্রাফিক বক্সে পর্যাপ্ত পানি, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ এ বেসিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারণকে করোনা থেকে রেহাই পেতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিলি করা হয়েছে। আবার স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআর এর পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে পুলিশ।
Advertisement
এছাড়া একাধিক ক্রাইম ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআর-এর নির্দেশে কোথায় লক ডাউন, কোথাও বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইন, ঝুঁকি এড়াতে নির্দিষ্ট এলাকায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ নজরদারিতেও নিয়োজিত পুলিশ।
জেইউ/এএইচ/এমএস