কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে আইন মন্ত্রণালয়ের ফাইলটি পেয়েছি। এখন সামারি করে তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে মুক্তির আদেশ কারাগারে পৌঁছে যাবে। তিনি মুক্তি পাবেন।
আজকের মধ্যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্নের পর বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব কিনা জানতে চাইলে বলেন, ‘দেখা যাক। জেল কোড অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেয়ার সেটা তো নিতে হবে। আমরা তো আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পেয়েই গেলাম, এখন প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি আছে।’
‘আমাদের কাজ আমরা করেছি, আজকে না হলে আগামীকাল নাগাদ আশা করি তিনি মুক্তি পেয়ে যাবেন।’
Advertisement
এর আগে বিকেলে গুলশানে নিজ বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিদেশ না যাওয়ার শর্তে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ১ উপধারা মতে ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি বিষয়ে মতামত দিয়েছি। মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তাকে মুক্তির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় এবং মানবিক কারণে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এসময় তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না। আজকের পরিপ্রেক্ষিতে (কোভিড-১৯ পরিস্থিতি) কাউকে বিদেশে যেতে বলা মানে তাকে সুইসাইড (আত্মহনন) করতে বলা।
আরএমএম/এএইচ/পিআর
Advertisement