কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মুক্তির এ বিষয়টি পুরোপুরি জানার পর প্রতিক্রিয়া দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৪টায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরই মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে এ তথ্য জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, ‘উনি (আইনমন্ত্রী) কী বলেছেন? মুক্তির পর বেগম খালেদা জিয়াকে কোথায় রাখা হবে?’
তখন বিএনপি মহাসচিবের কাছে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়। ‘পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪০১ ধারায় দণ্ড মওকুফ করে ছয় মাসের জন্য জামিন দিয়েছে। ওনাকে বাসায় থাকতে হবে। কোথাও যেতে পারবেন না। এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।’
Advertisement
আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্য হুবহু শোনার পর মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাহলে তো উনাকে (খালেদা জিয়াকে) হাউজ অ্যারেস্ট করা হবে। যেভাবেই হোক তার চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দেয়া দরকার। আপাতত এটুকুই বলা ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না। পুরো আদেশটা জানার পর প্রতিক্রিয়া দেব।’
এর আগে, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিদেশ না যাওয়ার শর্তে ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারার ১ উপধারা মতে ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তির বিষয়ে মতামত দিয়েছি। মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তাকে মুক্তির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কেএইচ/এফআর/এমএস
Advertisement