করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজ করানোর মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য শ্রম আইন শিথিল করা হয়েছে।
Advertisement
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত সচিব) শিবনাথ রায় জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দুটি শিল্পকারখানার কর্মঘণ্টার ক্ষেত্রে শ্রম আইন শিথিল করে দিয়েছি। এই দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইউনিলিভার ও রেকিট বেনকিজার লিমিটেড। তারা আমাদের কাছে আবেদন করেছিল। রেকিট জীবাণুনাশক প্রস্তুত করে। এখন তো ক্রাইসিস, এখন ওষুধ প্রস্তুত না করলে কখন করবে। বেশি সময় শ্রমিকরা কাজ করে বেশি উৎপাদন করতে পারবে। এ জন্য শ্রমিকদের বাড়তি মজুরিও দেবে তারা।’
মহাপরিদর্শক বলেন, ‘শ্রম আইন অনুযায়ী একজন শ্রমিককে দিয়ে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করানো যায়। আইন শিথিল করায় এখন তারা অতিরিক্ত মজুরির বিনিময়ে আরও বেশি সময় কাজ করাতে পারবে।’
Advertisement
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
শিল্পকারখানাও এই ছুটির আওতায় পড়বে কি না- জানতে চাইলে শিবনাথ রায় বলেন, ‘শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই। সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধের কথা বলা হচ্ছে। সরকারি বেসরকারি অফিস কলকারখানা বিষয়টি এক নয়।’
আরএমএম/এফআর/এমএস
Advertisement