জাতীয়

‘বিপর্যয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশে আসি নাই স্যার’

‘আল্লাহ না করুক যদি এমন হয়, করোনা ভাইরাসে মরে লাশের বন্যাও বয়ে যায়, তবুও আপনাদের পালানোর জায়গা নেই। সেই লাশ আপনাদের নিজের বহন করতে হবে…দেশের চরম বিপর্যয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশে আসি নাই স্যার। বরং এই বিপর্যয় দেশের জন্য নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে সদা প্রস্তুত আছি।’

Advertisement

সাহসী কথাগুলো কোনো সাধারণ জনগণের নয়। কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য। বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস নিয়ে বলতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান এভাবেই পরিষ্কার করেছেন তিনি। স্বার্থহীন শাকিল অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি ফেসবুকে এ পোস্ট দিয়েছেন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মোট ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মারা গেছেন তিনজন। আর সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন পাঁচজন।

করোনাভাইরাস নিয়ে ২২ মার্চ রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে ফেসবুকে পোস্ট দেন শাকিল। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহ না করুক যদি এমন হয়, করোনা ভাইরাসে মরে লাশের বন্যাও বয়ে যায়, তবুও আপনাদের পালানোর জায়গা নেই। সেই লাশ আপনাদের নিজের বহন করতে হবে। হাম্ম (শব্দটা স্পষ্ট নয়) স্যার বহন করবো, দেশের চরম বিপর্যয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করে পুলিশে আসি নাই স্যার। বরং এই বিপর্যয় দেশের জন্য নিজের প্রাণ বিস্বর্জন দিতে সদা প্রস্তুত আছি।’

Advertisement

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আর ছুটি বন্ধ করে দিয়েছেন তো কি হয়েছে? আমরাতো ভীতু না যে ভয় পেয়ে ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়ে খোপটি মেরে বসে থাকবো। আমরা চাই আমাদের প্রাণের বিনিময়ে হলেও এই দেশের মানুষ ভালো থাক। আর তাইতো আমরা এখনো দেশের নিরাপত্তায় এবং দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য এমন মহামারীতে নিরলস এবং সাহসীকতার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।’

নিচে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন-ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

শাকিলের এ পোস্ট বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে নেটিজেনদের। আমি একা সার্থপর নামে প্রোফাইল থেকে একজন লিখেছেন, ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং খুব সুন্দর পোস্ট। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ন্যায্য এবং সঠিক সেটাই আশা করি। কিন্তু আফসোস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা তা পাই না। তবে দোয়া রইল আপনার জন্য। আপনারা যেন দেশ এবং সর্বোচ্চ জনগণের জন্য ভালো কিছু করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।’

মো. রফিক মহাম্মদ নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘স্যালুট আপনাকে ব্রো। আমাদের দেশের মানুষের পাশে থাকার জন্য।’

Advertisement

এসআর/পিআর