গেই পেলেগ। পেশায় ইসরায়েলি এই চিকিৎসক বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় শহর পারমায়। তিনি ইসরায়েলি টেলিভিশনে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে যে তথ্য তুলে ধরেছেন তা রীতিমতো হৃদয়স্পর্শী। তিনি বলেছেন, চিকিৎসা-সরঞ্জমাদির সংকটের কারণে ইতালিতে বয়স্কদের রেসপিরেটরি মেশিন ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Advertisement
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। ইউরোপের এই দেশটিতে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৬০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৭ জনে।
ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল ১২-কে চিকিৎসক গেই পেলেগ বলেছেন, সেখানে (ইতালি) করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা যত বাড়ছে অবস্থা ততই খারাপের দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সেসব রোগীদের বাঁচার সম্ভাবনা নেই, কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
আরেকটি প্রতিবেদন দাবি করেছে, ইতালিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই এমনভাবে বাড়ছে যে পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রিয়জনকে ঠিকমতো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করারও সুযোগ পাচ্ছেন না।
Advertisement
পেলেগ বলেছেন, ‘তিনি হাসপাতালে থেকে যা দেখেছেন এবং কানে শুনেছেন তা হলো-নির্দেশনা রয়েছে যেসব রোগীদের বয়স ৬০-এর বেশি তারা রেসপিরেটরি মেশিন (কৃত্তিমভাবে শ্বাস নেয়ার মেশিন) ব্যবহারের সুবিধা পাবেন না।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস ফুসফুসে আক্রমণ করে বসলে রোগীর অবস্থা সংকটপূর্ণ হতে পারে। এ অবস্থায় তাকে কৃত্তিমভাবে শ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করতে না পারলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এজন্য শুধু করোনা রোগীর জন্য নয়, যেসব রোগীর শ্বাসকষ্ট রয়েছে তাদের জন্য রেসপিরেটরি মেশিন খুবই অপরিহার্য।
তবে অত্যন্ত দরকারি এই মেশিনের পর্যাপ্ত মজুত না থাকার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ইসরায়েলের এই চিকিৎসক।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ অপ্রত্যাশিতভাবে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ায় শুধু ইতালি নয়, বিশ্বজুড়ে চিকিৎসার সরঞ্জমাদিতে সংকট দেখা দিয়েছে।
Advertisement
সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট
এসআর/জেআইএম