আন্তর্জাতিক

করোনা : চীন-ইতালির পরেই যুক্তরাষ্ট্র

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যায় চীন এবং ইতালির পরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে নতুন করে আরও ১০ হাজার ১৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭৩৪। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫৫৩ জন।

Advertisement

নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ শতাংশ। সেখানে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ৮৭৫। ওই অঙ্গরাজ্যেই সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের চেয়ে নিউইয়র্কে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেখানে মৃত্যুর সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। রাজ্যের গভর্নর এন্ড্রু কুওমো সোমবার তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানান, সেখানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

আক্রান্তদের মধ্যে এর মধ্যে ১৫৭ জন বিভিন্ন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্ত রোগীর ১৩ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

গভর্নর কুওমো বলেন, ‘গড়ে প্রতিদিন ১৬ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো এই মহামারি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি।’ তিনি নিউইয়র্কের করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও বেশি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে, করোনার বিস্তার ঠেকাতে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশনা জারি করেছেন গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার।

বিশ্বের ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪৮ এবং মারা গেছে ১৬ হাজার ৫১৪ জন। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ২ হাজার ৬৯ জন।

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। ইউরোপের এই দেশটিতে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৬০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে মৃত্যু ৬ হাজার ৭৭।

Advertisement

দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৯। ফলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৯২৭। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭ হাজার ৪৩২ জন।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে চীনে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ১৭১ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৭৭ জন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট চারটি হাসপাতাল জরুরি সেবাদানের জন্য প্রস্তত করা হয়েছে।

টিটিএন/জেআইএম