দেশজুড়ে

চাচা হাত ধুয়ে যান

‘চাচা হাত ধুয়ে যান, ভাইরাস থেকে বাঁচুন। অবস্থা খুবই খারাপ। আপনি আমি সচেতন না হলে এই মরণঘাতী ভাইরাস আমাদের মেরে ফেলবে। বেশি বেশি হাত ধুইলে এবং সচেতন থাকলেই এ থেকে বাঁচা সম্ভব। নিজের অলসতার কারণে অকালেই হারাতে পারেন আপনার পরিবারকে’।

Advertisement

বাজারে প্রবেশ কিংবা কোথাও থেকে বাড়ি ফিরছেন গ্রামের যেসব লোক তাদের উদ্দেশ্যে করে কয়েকজন যুবক রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এভাবেই ডাকছেন। হাত ধুতে আর করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হতে বলছেন তারা। গ্রামের মানুষও বেশ যুবকদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তার পাশে রাখা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলছেন। এমন চিত্র দেখা গেছে মাগুরা সদর উপজেলার কুল্লিয়া গ্রামের বাজারে।

সোমবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামের কিছু যুবক নিজ উদ্যোগে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিদিনই প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে গ্রামের মানুষ বাজারে আসেন। চায়ের দোকানে বা অলিতে-গলিতে আড্ডা যেন নিত্যদিনের দৃশ্য। তবে গ্রামবাসীর অধিকাংশের মধ্যেই নেই করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতা। গ্রামের মানুষদের করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানান এই তরুণরা।

স্থানীয় যুবক প্রিন্স মাহামুদ জানান, ‘করোনাভাইরাসে ইতোমধ্যে ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সারা দেশেই সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে গ্রামের মানুষ এ বিষয়ে খুব অসচেতন। তারা যেন সচেতন হয় এজন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ’।

Advertisement

আরেক যুবক হাসান মল্লিক জানান, ‘গ্রামের খুব কম মানুষের সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস আছে। মূলত সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাগ গড়তেই আমাদের এই উদ্যোগ। এতে বাজারে আসা মানুষের হাত যেমন জীবাণুমুক্ত হবে আর সবাই সচেতন হয়ে পরিবারের সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করবে’।

সারা দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সব গ্রামের বাজারগুলোতে প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হলে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ অনেকটা রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন এই যুবকরা।

ফিরোজ মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘হাত ধোয়ার এমন ব্যবস্থা করা খুবই ভালো উদ্যোগ। এখন থেকে দিনে অনেকবার সাবান দিয়ে হাত ধুবো আর পরিবারের সবাইকে হাত ধুতে বলব’। এমআরএম

Advertisement