দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৬২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৩৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন তিনজন। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচজন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৫ জন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জনের দীর্ঘমেয়াদি রোগব্যাধি রয়েছে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ছয়জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ তিনজন ও নারী তিনজন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।
আক্রান্ত ৩৩ জনের মধ্যে মাত্র ১৩ জনের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে। ২০ জনই প্রবাসফেরতদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়। প্রবাসফেরত ১৩ জনের মধ্যে ইতালি থেকে ছয়জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুজন, ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে দুজন এবং বাহরাইন, ভারত ও কুয়েত থেকে একজন করে এসেছেন।
সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেলে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
Advertisement
ফ্লোরা জানান, আক্রান্ত ৩৩ জন রোগীর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই পুরুষ ও এক-তৃতীয়াংশ নারী। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৪০ বছর। এছাড়া ১০ বছরের কম বয়সী দুজন, ১০ থেকে ২০ বছর বয়সী একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী একজন ও ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ছয়জন রয়েছেন।
বর্তমানে আইসোলেশন রয়েছেন ৫১ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪৬ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৩ জনের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ ১৫ জন আক্রান্ত হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাদারীপুরে ১০ জন, নারায়ণগঞ্জে তিনজন, গাইবান্ধায় দুজন, কুমিল্লায় একজন, গাজীপুর ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
এমইউ/জেএইচ/এমএস
Advertisement