করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যাত্রী সংকটের কারণে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। রোববার রাতে ৩১ মার্চ বাতিল করা হয়েছে সিলেট বাদে অভ্যন্তরীণ সব রুটের ফ্লাইট। চলমান সংকটে কর্মীদের মার্চ মাস থেকে সবার বেতন ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। ভাতা কমেছে সর্বোচ্চ ৫০ ভাগ।
Advertisement
সোমবার সকালে বিমানের সব কর্মীকে এই সার্কুলারটি অফিসিয়ালি দেয়া হয়েছে। বিমানের একজন ককপিট ও একজন কেবিন ক্রু জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্চ মাস থেকে ৬ষ্ঠ থেকে তদূর্ধ্বের কর্মকর্তাসহ ককপিট এবং কেবিন ক্রুদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে অর্থ কর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সব প্রশাসনিক, কারিগরি ও অপারেশনাল কর্মচারী এবং প্রকৌশল কর্মকর্তাদের ওভারটাইম।
এতে আরও বলা হয়েছে, আগে কোনো কোনো ক্রু ৭০ ঘণ্টা ডিউটি না করলেও ১৫শ’ ডলার পেতেন। এখন থেকে এই নিয়ম বাদ দেয়া হয়েছে। এখন থেকে একজন কেবিন ক্রু মাসে এক ঘণ্টা ডিউটি করলে এক ঘণ্টার ভাতা (২১.৪৩ মার্কিন ডলার) পাবেন।
Advertisement
কেবিন ক্রুদের ওভারটাইম ভাতা প্রদান বন্ধ করা হয়েছে (লন্ডন স্টেশন ছাড়া)।
ককপিট এবং কেবিন ক্রুদের প্রতি মাসে ৮ দিন ছুটি (ডে-অফ) দেওয়া হয়েছে। ডেজ অফ বাবদ চলতি মাস থেকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। এছাড়া চলতি মাস থেকে নির্বাহী পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও সমমানের এবং মর্যাদার কর্মকর্তা, উপ-মহাব্যবস্থাপক/সমমর্যাদার কর্মকর্তা এবং অন্যদের আপ্যায়ন ভাতা বিদ্যমান হারের শতকরা ৫০ ভাগ প্রদান করা হবে।
মার্চ থেকে কোনো কর্মকর্তাকে মিল অ্যালাউন্স প্রদান করা হবে না। ফুড সাবসিডি ভাতাও চলতি মাস থেকে বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সার্কুলারে প্রকৌশল পরিদফতর ও অন্যান্য পরিদফতরের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য জ্বালানি বা জ্বালানি ব্যয় বাবদ কোন টাকা পাবেন না।
এ বিষয়ে বিমানের এমডি ও সিইও মোকাব্বির হোসেন এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকারকে ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
Advertisement
এআর/এসএইচএস/এমএস