রাজধানী কাফরুল থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আলিফ পরিবহন বাসের চালক গোলাম মোস্তফা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরদিকে হেলপার আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
সোমবার (২৩ মার্চ) এক দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক আবুল বাশার চালক মোস্তফার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। অপরদিকে, মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হেলপার লতিফকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান চালক গোলাম মোস্তফার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপরদিকে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান হেলপার লতিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম হাবিবুর রহমান চৌধুরী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Advertisement
গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের পল্লবী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদাত হোসেন সুমা জানান, গত ১৮ মার্চ এএসআই জাহাঙ্গীর কাফরুল থানার তালতলা ৯ নম্বর থেকে ১৩ নম্বর গেট পর্যন্ত ছিনতাই প্রতিরোধ ডিউটিতে ছিলেন। ডিউটিকালে রাত আনুমানিক সোয়া ৮টায় পুরোনো বিমানবন্দর ৯ নম্বর গেটের উত্তর পাশে রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা দেখে এবং ভিকটিমের চিৎকার শুনে ছিনতাইকারীদের ধরতে ধাওয়া করেন।
পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে আসা আলিফ পরিবহনের একটি বাস এএসআই জাহাঙ্গীরকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন। এতে তার মুখের বাম পাশের গালে ও বাম কানে গুরুতর জখম হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা কনস্টেবল মো. সিদ্দিকুর রহমান চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যান তিনি।
ওই ঘটনায় তার স্ত্রী নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে কাফরুল থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ মামলার অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়। শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে চকবাজার থেকে প্রথমে হেলপার আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার তথ্যানুযায়ী ওই দিন রাতেই গাবতলী এলাকা থেকে চালক গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
জেএ/এফআর/এমএস
Advertisement