করোনা আতঙ্কে রয়েছেন সন্দ্বীপের ৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার)। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করা এসব সিএইচসিপিদের নিরাপত্তায় এখনো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন তারা।
Advertisement
জানা যায়, চট্টগ্রামের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ। এখানে ৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৪০-৫০ জন করে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার রোগী দেখেন সিএইচসিপিরা। কমিউনিটি ক্লিনিকে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশির প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে বেশি রোগী আসেন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিস্তার হওয়ার পর থেকে চরম আতঙ্কে আছেন সিএইচসিপিরা। তাদের দাবি, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এখনো তাদের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুন নবী রুমী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে আছি। আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করি। জ্বর, সর্দি, কাশির রোগী আমাদের বেশি দেখতে হয়। এখনো আমাদের নিরাপত্তার জন্য কোনো সামগ্রী দেওয়া হয়নি। কোনো প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি।’
Advertisement
সিএইচসিপি মোমেনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি আমরা। মহামারী করোনা আক্রান্তের লক্ষণ এর মাধ্যমে শনাক্ত হয়। আমাদের নিরাপত্তার জন্য পিপিই ও স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটা সারাদেশের সমস্যা। এখনো সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ আসেনি। তবে সিএইচসিপিদের উদ্যোগে মাস্ক ব্যবহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারিভাবে বরাদ্দ হয়েছে। আসতে একটু সময় লাগছে। সিএইচসিপিদের নিজ উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। অন্তত ১ ফুট দূরত্বে রোগী দেখার জন্য বলা হয়েছে।’
এসইউ/জেআইএম
Advertisement