জাতীয়

করোনাভাইরাস: ৩ দিনে মাত্র দুই আসামি শাহবাগ থানায়

করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ছে থানা-পুলিশ। এমন তথ্য শুনে অনেকে চমকে উঠে ভ্রু কুঁচকে বলবেন, এতো আষাঢ়ে গল্প!

Advertisement

প্রতিদিন অপরাধ-সংক্রান্ত বিভিন্ন সাধারণ ডায়েরি ও মামলা দায়ের, আসামি গ্রেফতার ও গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানোসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে থানা-পুলিশকে বলতে গেলে দিনরাত ২৪ ঘণ্টায় ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়। কিন্তু বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় থানাগুলোতে আগত দর্শনার্থী ও গ্রেফতার এবং আটক আসামিদের সংখ্যা কমে গেছে। হাজতে আসামি নেই। নেই দর্শনার্থীদের ভিড়।

সোমবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট ও লালবাগ থানা সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, অধিকাংশ থানা প্রাঙ্গণে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। থানার গেটের প্রবেশ পথের পাশেই বেসিন লাগানো ও সেখানে সাবান রাখা আছে।

একাধিক কনস্টেবলের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থী ও দায়িত্ব পালন শেষে আগত পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে যেন কেউ সংক্রমিত না হয় সেজন্য বেসিনে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পুলিশ সদস্যদের অনেকেই মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে আছেন।

Advertisement

থানায় আগত দর্শনার্থীর সংখ্যা খুবই কম, তবুও যারা আসছেন তাদের প্রথমে বেসিনে ভালো করে হাত ধুয়ে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। থানায় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখার জন্য দর্শনার্থীরা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।

আজ দুপুর ১টায় শাহবাগ থানার গেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার মেট্রোরেলের কাজ করছেন এমন একজন শ্রমিক থানা গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই একজন কনস্টেবল এগিয়ে এসে বললেন, ভাই থামেন, ওসি স্যারের অর্ডার আছে, আগে বেসিনে গিয়ে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে তারপর যেতে হবে। বিব্রত ওই শ্রমিক তড়িঘড়ি করে বেসিনের কল ছেড়ে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিলেন।

করোনার কারণে কি থানায় মামলা ও আসামি কমে গেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল বলেন, গত তিন দিনে থানা হাজতে মাত্র দুজন ছিনতাইয়ের আসামি এসেছে। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে থানা হাজতে কোনো আসামি নেই। করোনার কারণে বহু মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। অনেকেই সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে বাসায় থাকছেন। এ কারণে থানায় মামলা ও আসামির সংখ্যা কম যেতে পারে। এ চিত্র শুধু শাহবাগ থানারই নয়, রাজধানীসহ সারাদেশের বলে মনে করা হচ্ছে।

এমইউ/এমএসএইচ/এমএস

Advertisement