ফিচার

গত ১০০ বছরে যে ৭ মহামারি আঘাত হেনেছে

বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। দিন দিন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে চারদিক। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১৪ হাজার ৭৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৪ জন। শুধু তা-ই নয়, গত ১০০ বছরে বিশ্বে ৭টি ভাইরাস আক্রমণ করেছিল, যা মহামারি আকারে ছড়িয়েছিল। সেই ভয়ঙ্কর ভাইরাসগুলো সম্পর্কে জেনে নিন-

Advertisement

গুটি (১৯০০): বিগত শতাব্দীতে বিভিন্ন সময় গুটির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৫৬ মিলিয়ন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। মূলত উত্তর আমেরিকায় এর প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছিল।

স্প্যানিশ ফ্লু (১৯১৮-১৯১৯): প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রধানত ইউরোপের শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এ ভাইরাস। পরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তখন প্রায় ৫০০ মিলিয়ন লোক সংক্রমিত হয়েছিল। এতে ৫০-১০০ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যারা মারা গিয়েছিলেন, তাদের দ্বিগুণের সমান।

এশিয়ান ফ্লু (১৯৫৬): এ ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ১৯৫৬ সালে প্রথমে চীনে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ১৯৫৭ সালে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমায়। সারা বিশ্বের প্রায় ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এ রোগে।

Advertisement

এইডস (১৯৮১): ১৯৮১ সালে আবিষ্কার করা হয় এইডস। তখন থেকে রোগটি বিশ্বব্যাপী ২৫-৩৫ মিলিয়ন মানুষের জীবন নাশ করেছিল। এরমধ্যে ২০১৭ সালেই মারা গেছে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৬.৯ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছিল।

সার্স (২০০৩): ২০০৩ সালে চীনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাস। সে সময় ২৫টি দেশে ৮ মাসে সার্স ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিল ৮ হাজার ৯৮ জন। সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তখন ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

সোয়াইন ফ্লু (২০০৯): ভাইরাসটি শূকর থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হয়। এরপর ধীরে ধীরে কৃষক ও প্রাণি চিকিৎসকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় এ মহামারী দেখা দেয়। এতে ১৮ হাজার ৫০০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এক গবেষণায় দেখা যায়, শূকরের সঙ্গে না মিশলেও এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

ইবোলা (২০১৪): ২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ভাইরাসটি দেখা দিয়েছিল। পরে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ এবং বিশ্বের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

Advertisement

এসইউ/এমএস