প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীরা বাড়িতে থেকেও আংশিক কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যের ৭ কোটি ৯০ লাখ মানুষ রেশনে প্রতি মাসে ২ টাকা কেজি দরে চাল পেতেন; এখন সেটি বিনামূল্যে দেয়া হবে।
Advertisement
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ও সমাজের বিশালসংখ্যক মানুষের সমস্যা লাঘবে এ দুই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মমতা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অর্থনীতি, কলকারখানা এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে মন্দার শঙ্কা নিয়ে দেশটিতে ভয়াবহ একটি পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে মমতা বলেন, রাজ্য সরকার আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দরিদ্রদের বিনামূল্যে চাল দেবে। আগে দরিদ্ররা চাল প্রতি কেজি ২ রুপি এবং গম প্রতি কেজি তিন রুপিতে পেতেন। এখন তারা সেগুলো একদন বিনামূল্যেই পাবেন। মাসে একজন সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল এবং পাঁচ কেজি গম পাবেন।
পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন অফিস সূচি তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই সূচি অনুযায়ী ৫০ শতাংশ সরকারি কর্মী তাদের বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করতে পারবেন। সোমবার থেকে এই ডিউটি রোস্টার চালু হয়ে মার্চের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
Advertisement
মমতা বলেন, আমাদের ই-অফিস প্রস্তুত আছে। আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। আমি একেবারে শাটডাউন করার কথা বলছি না। সুপারশপ এবং মার্কেটগুলো চালু থাকবে। রেস্টুরেন্টগুলো চালু থাকতে পারে; তবে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তৃণমূলের এই নেত্রী বলেন, আমি প্রত্যেককেই অনুরোধ জানাচ্ছি জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। এটা কঠোরভাবে মেনে চলুন। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮০০ শয্যা প্রস্তুত আছে। তবে রাজারহাটে নতুন ভবনের আরও ৮ হাজার মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আরও অবকাঠামো দরকার। আমরা এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সহায়তা পাইনি। রাজ্যে টেস্টিং কিট এবং ল্যাবরেটরির ঘাটতি রয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এসব সমস্যার কথা জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে।
ভারতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৫ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন। এছাড়া এতে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২৪ জন।
Advertisement
এসআইএস/এমকেএইচ