জাতীয়

গাবতলী-মহাখালীতে বাসে জীবাণুনাশক স্প্রে করছে ডিএনসিসি

মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং গাবতলী থেকে আন্তঃজেলা বাস ছাড়ার আগে বাসের ভেতরে জীবাণুনাশক স্প্রে করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা জানিয়েছেন, মহাখালী ও গাবতলী থেকে প্রতিটি বাস ছাড়ার আগে ডিএনসিসি কর্তৃক আবশ্যিকভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে।

Advertisement

এছাড়া নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা। এ কমিটি প্রতিটি ওয়ার্ডে যাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা তারা তা মেনে চলছে কি-না তা নিশ্চিত করবে। কারো কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলে তিনি যদি তা মেনে না চলেন প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা, এমনকি বাড়ি সিলড করে দেওয়া হতে পারে। ওয়ার্ডের কোথাও জনসমাগম যেন না হয় তা নিশ্চিত করা। প্রতিটি ওয়ার্ডে পথচারীদের জন্য সাবান, পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং মশককর্মীরা রাস্তাঘাটে জীবাণুনাশক তরল ছেটাবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা।

এছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে আজ রোববার থেকে ডিএনসিসির বিভিন্ন সড়ক, প্রতিষ্ঠানের সামনে, উন্মুক্ত স্থানে ওয়াটার বাউজারের সাহায্যে তরল জীবাণুনাশক স্প্রে করা শুরু হয়েছে।

Advertisement

৫টি ওয়াটার বাউজার এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়াটার বাউজারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার লিটার। প্রতিদিন ১৬ বার করে প্রতিটি ওয়াটার বাউজারের সাহায্যে ডিএনসিসির বিভিন্ন স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন।

তিনি জানান, ৫টি ওয়াটার বাউজারের সাহায্যে প্রতিদিন মোট ৮০ হাজার লিটার তরল জীবাণুনাশক ডিএনসিসির প্রধান সড়ক, উন্মুক্ত স্থান এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে স্প্রে করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডের অলি-গলিতে হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে তরল জীবাণুনাশক স্প্রে করা অব্যাহত রয়েছে।

করোনা প্রতিরোধে ডিএনসিসির বিভিন্ন স্পটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাকরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ডিএনসিসির বিভিন্ন স্পটে পথচারীদের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। স্পটগুলোতে সাবান ও পানি নিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে। এ সব স্পটের আশপাশে থাকলে পথচারীদেরকে হাত ধুয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

স্পটগুলো হচ্ছে উত্তরায় রবীন্দ্র সরণি (বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চ), রাজলক্ষী মার্কেটের সামনে, মাসকট প্লাজার সামনে, খিলক্ষেত বাস স্ট্যান্ড, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেইটের সামনে, মিরপুরে সনি সিনেমা হলের সামনে, গ্রামীণ ব্যাংকের বিপরীত দিকে ডিএনসিসি আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে ফায়ার সার্ভিসের সামনে, মিরপুর ১২ নম্বর বাস স্ট্যান্ড, মিরপুর ১৪ নম্বর মার্ক মেডিকেলের সামনে, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে শাহ আলী মার্কেটের কোনায়, মিরপুর শপিং মলের নিচে (মিরপুর সরকারি কলেজের বিপরীতে), মিরপুর ১ নম্বর কো-অপারেটিভ মার্কেটের সামনে, গাবতলী পশু হাট, শ্যাওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুর টাউন হলের সামনে, মোহাম্মদপুর বসিলা রোডের নতুন রাস্তার কালভার্টের কাছে, কারওয়ান বাজার (কিচেন মার্কেটের সামনে), আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালের সামনে, গুলশান-২ ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে, গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে, কাকলী বাস স্ট্যান্ড, মহাখালী ডিএনসিসি আঞ্চলিক অফিসের সামনে এবং রামপুরা বাজার।

Advertisement

ফার্মগেট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে ইতোপূর্বে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকার কথা বলা হলেও অনিবার্য কারণে তা কাওরান বাজারে সরিয়ে নেওয়া হয়। জনসমাগম বেশি হওয়ায় এটি ছাড়াও কাওরান বাজারে নতুন করে আরও ৩টি স্পটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ নিয়ে কাওরান বাজারে মোট স্পটের সংখ্যা ৫টি এবং ডিএনসিসিতে স্পটের সংখ্যা মোট ২৮টি।

এএস/এনএফ/এমকেএইচ