দেশজুড়ে

করোনা রোগীদের সেবা করতে চায় ওরা

সারাবিশ্বে বর্তমানে আতঙ্কের নাম নভেল করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ইতোমধ্যেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে এটি। কয়েক মিনিট পর পর মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। বাংলাদেশেও এরই মধ্যে মারা গেছেন দুইজন আর আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন।

Advertisement

সারা দেশের মতো ঝিনাইদহেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে সর্বশেষ জেলার ৬ উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৫৩ জন।

এমন পরিস্থিতিতে ঝিনাইদহের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যুবক-যুবতীরা এক মহৎ ঘোষণা দিলেন। ভাইরাসটি মহামারি আকার ধারণ করলে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে স্বেচ্ছায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা করতে চান তারা। ফেসবুকেও লিখেছেন স্বেচ্ছায় কাজ করার ইচ্ছার কথা।

এমনই মহৎ উদ্যোগের কথা জানালেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্লাড ব্যাংক অব কালীগঞ্জের উপদেষ্টা বি. এম সাইদুজ্জামান সবুজ। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস অতিমাত্রার ছোঁয়াচে। স্বাস্থ্য বিভাগ চাইলে আমরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে প্রস্তুত। এজন্য সরকারকে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ ও শরীরে পরিধান করার ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করতে হবে।

Advertisement

আল মাসুম নামে এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, করোনা ভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে সরকারকে সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছায় কাজ করতে আগ্রহী তারা।

সিনথিয়া নামের এক নারী স্বেচ্ছাসেবক জানান, করোনা ভাইরাস দেশে মহামারি আকার ধারণ করলে যেকোনো মুহূর্তে স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন হয় বা স্বাস্থ্য বিভাগ যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক।

তবে বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, তাদের আগ্রহকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এই মুহূর্তে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কেউ কাজ করতে চাইলে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য বিভাগকে নিজ এলাকার বিদেশ ফেরতদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারে। এক্ষেত্রে উপজেলাগুলোতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনকে জানালেই হবে।

তিনি আরও জানান, ঝিনাইদহে এখনও কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে কেউ যদি শনাক্ত হয় সেক্ষেত্রে তাদের চিকিৎসা শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাই করবেন। বিশেষ প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে সেচ্ছাসেবকদের কাজে লাগানো যায় কি না সেটা ভেবে দেখা হবে।

Advertisement

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এফএ/পিআর