অস্ট্রেলিয়ায় করোানাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। সে কারণে সব ধরনের অপ্রয়োজনী সেবা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ক্লাব, জিম, সিনেমা এবং উপাসনালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
Advertisement
সোমবার দুপুর থেকেই এই নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর নতুন এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন। তবে রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফে এই বিধি-নিষেধের বাইরে থাকছে। আগের মতো কার্যক্রম চালাতে না পারলেও এগুলো খোলা রাখা যাবে।
অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩১৫। অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস। শুধুমাত্র সেখানেই এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৩। অপরদিকে ভিক্টোরিয়ায় ২৯৬ এবং কুইন্সল্যান্ডে ২৫৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও সুপারমার্কেট, পেট্রোল স্টেশন, ফার্মেসি এবং হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকছে। প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেছেন, তিনি চান স্কুলগুলো খোলাই রাখতে। তবে বাবা-মায়েরা চাইলে তাদের সন্তানদের বাড়িতেই রাখতে পারবেন। অর্থাৎ কোনো অভিভাবক না চাইলে শিশুদের এখন স্কুলে পাঠানো বাধ্যতামূলক নয়।
Advertisement
কিন্তু এ বিষয়ে মরিসন বলছেন, আমি চাই না আমাদের সন্তানদের পুরো বছর ধরে পড়াশুনার ক্ষতি হোক। তবে ভিক্টোরিয়ার মতো অনেক রাজ্যই সেখানকার সব স্কুল বন্ধ রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে।
করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। সে কারণে এই মুহূর্তে যত কম মানুষের সংস্পর্ষে যাওয়া যায় ততোই ভালো। কিন্তু সম্প্রতি কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিডনির বোন্ডিসহ বেশ কিছু বীচে বহু মানুষের সমাগম ঘটেছে। শনিবারের এই ঘটনার পরই নতুন কড়াকড়ি আরোপ করল কর্তৃপক্ষ।
মরিসন বলেছেন, ফেডারেল এবং রাজ্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ অস্ট্রেলিয়ার লোকজন প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলছে না। তিনি বলেছেন, আমরা শহরগুলো লকডাউন করিনি যে লোকজনকে ঘরের মধ্যেই আবদ্ধ থাকতে হবে।
টিটিএন/পিআর
Advertisement