করোনা মোকাবিলায় যেভাবে প্রস্তুত হচ্ছে বগুড়া ও জয়পুরহাট

করোনাভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে রোববার বগুড়া সার্কিট হাউজে ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুটি সভা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

এ ছাড়া তিনি বগুড়ার মোহম্মদ আলী হাসপাতাল, জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জয়পুরহাটের গোপীনাথপুর আইএইচটি, আক্কেলপুর হাসপাতাল, ক্ষেতলাল হাসপাতাল, কালাই হাসপাতাল সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সেখানে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এই দুঃসময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

বগুড়ার সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়

একটি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িতভাবে প্রস্তুত করা। শহরের উপকণ্ঠে দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কোয়ারান্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা। ডাক্তার ও সেবকদের জন্য পিপিই ও টেস্টিং কিট সরকারিভাবে সরবরাহ বাড়ানো এবং হুইপের ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় এসব সামগ্রীর ব্যবস্থা করা। প্রবাসীদের হোম কোয়ারান্টাইন শতভাগ নিশ্চিত করা, বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জিয়া মেডিকেল কলেজ, সিভিল সার্জন ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের যৌথভাবে কাজ করা, হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর চাপ কমাতে সার্বক্ষণিক টেলি মেডিসিন সুবিধা চালু ও জোরদার করা।

 

জয়পুরহাটে যেসব সিদ্ধান্ত হয়

গোপীনাথপুর আইএইচটিতে হোম কোয়ারান্টাইন পদ্ধতি না মানা ব্যক্তিদের জন্য সেফ অতিথিশালা চালু করা একং তাদের জন্য মানসম্পন্ন আবাসন ও খাদ্য নিশ্চিত করা, হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত কর, না মানলে অতিথিশালায় পাঠানো, দরিদ্র পরিবারের মাঝে এক লাখ খারযুক্ত সাবান বিতরণ (স্যানিটাইজারের অপ্রাপ্যতা ও বর্তমান মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় সাবান অধিক কার্যকর বিধায়), বিভিন্ন স্থানে পর্যাপ্ত হাত ধৌতকরণ সুবিধা স্থাপন ও সাবান সরবরাহ, প্রতিটি হাসপাতাল আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত একদিন পরপর ব্যাপকভাবে পরিষ্কার করা, ডাক্তার ও চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই ও নিরাপত্তা উপরকণের ব্যবস্থা করা, করোনা কিট সরবরাহ, হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর চাপ কমাতে সার্বক্ষণিক টেলি মেডিসিন সুবিধা চালু ও জোরদারকরণ, করোনা সম্পর্কে ব্যাপক মাইকিং, ইমাম সাহেবদের মাধ্যমে প্রচার, ডিশ চ্যানেলে প্রচার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারকরণ, পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত চায়ের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁয় আড্ডা বন্ধকরণ, হাসপাতালে রোগীর সেবার আধুনিক কাউন্টার নির্মাণ করা এবং জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র কর্তৃক ১০ হাজার মানসম্পন্ন তিন লেয়ার মাস্ক সরবরাহ, প্রতিটি পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে প্রকল্প বাস্তবায়ন।

জেডএ