প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আগামী বছরের মাঝামাঝিতে যশোরে বসতে পারে হাইকোট বিভাগের সার্কিট বেঞ্চ। এজন্য আগামী জানুয়ারিতে নতুন বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। আর বছরের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রামের পরেই যশোরে একটি সার্কিট বেঞ্চ চালু করা হবে।রোবরাব রাতে জেলা জাজশিপ আয়োজিত যশোর সার্কিট হাউজে বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা এসব কথা বলেন।জেলা ও দায়রা জজ ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়েদ দিলদার হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ, স্পেশাল অফিসার হোসনে আরা আক্তার, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব আনিসুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কামাল হোসেন শিকদার, বেগম ফারজানা ইয়াসমিন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম প্রমুখ।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, মানুষের যখন অধিকার খর্ব হয়, তখন তিনি আইনের আশ্রয় নেন। কিন্তু বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পর্কিত পুলিশ ও চিকিৎসা বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে অনেক সময় বিচারপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এজন্য যশোরে ২০০৫ সালের আগে করা সব ফৌজদারি মামলা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। আমি এজন্য বিচারকদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেছি। যদি এই সময়ের মধ্যে পুলিশ বা ডাক্তাররা সংশ্লিষ্ট মামলার স্বাক্ষী হিসেবে হাজির না হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রধান বিচারপতি পুলিশের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, দ্বিতীয় পক্ষের কাছ থেকে বাড়তি সুয়োগ নিয়ে কোনো কোনো পুলিশ ত্রুটিপূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন বা চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। যার কারণে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হন। আর আসামিরা সহজেই জামিনে বেরিয়ে যান।যশোরের উদীচী ট্রাজেডির কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, পুলিশের ত্রুটিপূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদনের কারণে মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে।বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিকুল ইসলাম পিটু, সরকারি কৌশলী (জিপি) সোহেল শামীম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি দেবাশীষ দাস, সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্ত্তজা প্রমুখ।সম্মেলনের শুরুতে জেলা ও দায়রা জজ ইসরাইল হোসেন জেলার বিচার বিভাগের সার্বিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।মিলন রহমান/বিএ
Advertisement