করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে দেশব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। এ লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। রোববার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ আহ্বান জানিয়েছেন।
Advertisement
বিবৃতিতে তিনি যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন-১. আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে সারাদেশের জনগণের মধ্যে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিক তথ্য প্রদান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন এবং জনসমাগম হতে পারে এমন কর্মসূচি পরিহার করবেন। সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে মানুষের মনে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর করবেন এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করবেন।
২. ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহর পর্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করে ওই সকল ব্যক্তিদের তথ্য স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করবেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবেন। প্রয়োজনে সরকার ঘোষিত হটলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
৩. করোনাভাইরাস সঙ্কট নিয়ে সব ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং এই সব অপকর্ম প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।
Advertisement
৪. বাংলাদেশে কোনো প্রকার খাদ্য সঙ্কট নেই। বাজারে গুজব সৃষ্টি করে প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির অপতৎপরতা ও মজুতদারির বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন।
৫. জনপ্রতিনিধিগণ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন এবং নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সচেতন করবেন।
৬. কোনো ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করে তাদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানে সহযোগিতা করবেন।
৭. প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য তথা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনি বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছেন। দেশবাসীর সম্মিলিত সচেতনতা, সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনই পারে ভয়াবহ এই সঙ্কট থেকে আমাদের রক্ষা করতে। বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসীর এই ক্রান্তিলগ্নে সকলকে ধৈর্য্য, সতর্কতা, দায়িত্বশীলতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। পরম করুণাময় আমাদের সহায় হোন।
Advertisement
এফএইচএস/এমএফ/এমএস