দেশজুড়ে

আর জরিমানা নয়, সরাসরি জেলে পাঠান প্রবাসীদের

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। এখন থেকে কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে জরিমানা নয়; সরাসরি তাকে জেলে পাঠানো হবে।

Advertisement

রোববার (২২ মার্চ) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

ডিসি বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইন লঙ্ঘনের দায়ে তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে। এখন আর জরিমানা নয়; হোম কোয়ারেন্টাইন লঙ্ঘন করলে প্রবাসীদের এখন থেকে সরাসরি জেলে পাঠিয়ে দেন। জেলা প্রশাসনের সব ম্যাজিস্ট্রেট এখন থেকে তাই করবেন। জরিমানা না করে তাদের জেলে পাঠাবেন।

তিনি বলেন, রোববার পর্যন্ত জেলার হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২ হাজার ১৬৫ জন। এখন পর্যন্ত বাইরে রয়েছেন ৪০২ জন। পটুয়াখালীতে তিন ধাপে তিন মাসে ৮ হাজার ৩৪৪ জন প্রবাসী এসেছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৬৭ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

Advertisement

ডিসি মতিউল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে এসেছেন। নিজের পরিবার ও দেশকে ভালোবাসলে আপনার উচিত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা। এখন চিত্র উল্টো; আপনাদের খুঁজে বের করতে হয়। দুঃখজনক। যার যেই জায়গায় থাকার কথা তিনি সেই জায়গায় নেই। এজন্য আমাদের ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়াতে হবে। নয়তো একটি জনপদ নয়; পুরো রাষ্ট্র ঝুঁকিতে পড়বে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে লঞ্চ মালিকদের বলা হয়েছে প্রতিটি লঞ্চে পর্যাপ্ত হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাত্রী উঠার আগে ও নামার পরে প্রতিটি লঞ্চকে পরিষ্কার করতে হবে। লঞ্চের মধ্যে মালিকপক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীগামী লঞ্চের যাত্রীদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। অন্য জেলার নাগরিক বা পর্যটক হলে একই লঞ্চে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। জেলার সব হোটেল, গেস্ট হাউসের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। জনসমাগম এড়াতে হোটেল, চায়ের দোকান, বিউটি পার্লার ও সেলুন বন্ধ করে দেয়া হবে।

ডিসি আরও বলেন, প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে একযোগে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মিত মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সর্দি-কাশি হলে রোগীরা বাড়িতে চিকিৎসা নেবে। এজন্য প্যারাসিটামল ও হিস্টাসিন রয়েছে। এরপর কেউ হাসপাতালে আসলে তাদের জন্য প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার ব্যবস্থা আছে।

Advertisement

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হেমায়েত উদ্দিন, পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী শামসুর রহমান ইকবাল, সাবেক সভাপতি স্বপ্ন ব্যানার্জি ও কোষাধ্যক্ষ আবদুস সালাম আরিফ প্রমুখ।

মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/এএম/এমকেএইচ