শিক্ষা

করোনাভাইরাস: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকার পরামর্শ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির (এপিইউবি) সভাপতি শেখ কবির হোসেন। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত চলমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে সচেতনতামূলক কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানান তিনি।

Advertisement

রোববার এপিইউবির পরিচালক (যোগাযোগ) বেলাল আহমেদের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) করোনাভাইরাস সংক্রমণকে ইতোমধ্যে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে পূর্ব সতর্কতা হিসেবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় করণীয় হিসেবে আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ঘন ঘন দুই হাত সাবান পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে পরিষ্কার, হাত দিয়ে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকা, হাঁচি-কাশির সময়ে টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা, ইত্যাদি এবং জনস্বার্থ আইন বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এ ব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছেন।

এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্যের সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবার সচেতনতামূলক কার্যকরী ভূমিকা পালন করা উচিৎ। বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ অবস্থান ও সতর্ক থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণাকে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য করে শিক্ষার্থীদের যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো অত্যন্ত বিপদজনক।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য নিজের ও পরিবারের তথা সমাজ ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে অবস্থান, পরিষ্কা-পরিচ্ছন্ন থাকা, গুজবে কান না দেয়াসহ সরকারি নির্দেশনা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ যথাযথভাবে মেনে চলা অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোবাইল ফোনে এসএমএস, ইলেকট্রনিক মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সরকারি নির্দেশনা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলার বার্তা প্রেরণ করা যেতে পারে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট প্রতিবেশীদের মাঝে সামর্থ্য অনুযায়ী হ্যান্ড স্যানিটাইজার, লিকুইড সোপ সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সেচ্ছাসেবকদের দল গঠনের মাধ্যমে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনে সহযোগিতা করতে পারে। সেক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকদের সুরক্ষা বজায় রেখে বজায় রেখে কাজ করতে হবে। চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়টি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে ‘লাইভ ক্লাস অথবা ভিডিও টিউটোরিয়াল’ প্রেরণের মাধ্যমে করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষা ও নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় এবং জরুরি সেবাসমূহ বিকল্প ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা যেকোনো দুর্যোগ সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।

এমএইচএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ

Advertisement