আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গ লকডাউন

করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে আগামী ২৭ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন।

Advertisement

রোববার (২২ মার্চ) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, লকডাউনের সময়ে আপদকালীন পরিসেবা বাদ দিয়ে বাকি সবকিছু বন্ধ হচ্ছে কলকাতাসহ শহরগুলোতে।

সংবাদমাধ্যম জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কলকাতাসহ দেশের ৭৫ জেলা লকডাউনের প্রস্তাব দেয়া হয়। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, রাজ্য সরকার চাইলে লকডাউনের এলাকা বাড়াতে পারে। তারপরই নবান্নের (পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দফতর) তরফ থেকে কলকাতাসহ রাজ্যের সব শহরকে লকডাউন করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়।

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি কয়েকটি রাজ্যের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো। ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩২ হলেও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩। এমনকি গোটা ভারতে চারজনের মৃত্যু হলেও বাংলাকে এখনো এমন কোনো দুঃসংবাদ শুনতে হয়নি।

Advertisement

তবে ওই তিনজন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার আগে নিয়ম ভেঙে প্রকাশ্যে ঘুরেছেন বলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের সব শহরকে লকডাউন করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকার।

লকডাউনের সময় পুরোপুরি ঘরে থাকার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যক যেসব সামগ্রী দরকার, তা সংগ্রহ করে নিতে সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সময় পাবে রাজ্যবাসী। তবে লকডাউনের সময়ে জনতা যেন বিপদে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল, চিকিৎসা পরিকাঠামো, ওষুধের দোকানসহ নানা আপদকালীন সেবা চালু থাকবে।

এদিকে করোনা ঠেকাতে দেশজুড়ে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত মেইল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার, লোকালসহ সব ধরনের ট্রেন সেবা বন্ধ থাকবে।

অন্যদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সকাল ৭টা থেকে ভারতজুড়ে ‘জনতা কারফিউ’ শুরু হয়েছে। রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই কারফিউ। জনতা কারফিউয়ের কারণে রোববার সকাল থেকেই ফাঁকা বেশিরভাগ শহরের রাস্তাঘাট, বন্ধ দোকানপাট। জরুরি প্রয়োজনে অল্প কিছু লোক ঘর থেকে বের হচ্ছেন। রাস্তায় সরকারি বাস থাকলেও তাতে যাত্রী নেই বললেই চলে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্য দেশের মতো কোভিড-১৯ বিস্তারের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ভারত। এ সংক্রমণ এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে খুব শিগগির ভয়াবহ আকার নেবে পরিস্থিতি।

এইচএ/এমএস