আন্তর্জাতিক

করোনা ঠেকাতে ভারতজুড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ

করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে দেশজুড়ে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত মেইল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার, লোকালসহ সব ধরনের ট্রেন সেবা বন্ধ থাকবে। এছাড়া, মধ্যরাতের পর থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকাতা মেট্রো পরিসেবাও।

Advertisement

রোববার (২২ মার্চ) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

কলকাতার সংবাদমাধ্যম জানায়, বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সব ধরনের মেইল, এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। যদিও কলকাতা ও শহরতলীতে লোকাল ট্রেন এবং কলকাতা মেট্রো ও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এখনো চলছে। মধ্যরাত থেকে সেগুলিও বন্ধ করে দেয়া হবে। গণপরিবহনের এ সেবা বন্ধ থাকবে আগামী ৩১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে মালামালবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সকাল ৭টা থেকে ভারতজুড়ে ‘জনতা কারফিউ’ শুরু হয়েছে। রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই কারফিউ। জনতা কারফিউয়ের কারণে রোববার সকাল থেকেই ফাঁকা বেশিরভাগ শহরের রাস্তাঘাট, বন্ধ দোকানপাট। জরুরি প্রয়োজনে অল্প কিছু লোক ঘর থেকে বের হচ্ছেন। রাস্তায় সরকারি বাস থাকলেও তাতে যাত্রী নেই বললেই চলে।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৮৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩২ জন, মারা গেছেন অন্তত চারজন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্য দেশের মতো কোভিড-১৯ বিস্তারের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ভারত। এ সংক্রমণ এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে খুব শিগগির ভয়াবহ আকার নেবে পরিস্থিতি।

করোনা প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্যে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। গুজরাটের অন্তত চারটি শহর আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত অবরুদ্ধ ঘোাষণা করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাজস্থান অবরুদ্ধ ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে আন্তঃরাজ্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

শহুরে বাসিন্দাদের এখনই গ্রামে না যেতে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত সরকার। পাশাপাশি ভারতজুড়ে বিয়ের অনুষ্ঠান, সব স্থানীয় নির্বাচন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

Advertisement

এইচএ/এমএস