প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতে ‘জনতা কারফিউ’ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই কারফিউ।
Advertisement
গত সপ্তাহেই করোনার বিস্তার ঠেকাতে অতিজরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে আজ দেশজুড়ে এ কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন ভারতীয়রা।
জনতা কারফিউয়ের কারণে রোববার সকাল থেকেই ফাঁকা বেশিরভাগ শহরের রাস্তাঘাট, বন্ধ দোকানপাট। জরুরি প্রয়োজনে অল্প কিছু লোক ঘর থেকে বের হচ্ছেন। রাস্তায় সরকারি বাস থাকলেও তাতে যাত্রী নেই বললেই চলে।
রোববার ভোরে এক টুইটবার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'আর কিছুক্ষণের মধ্যে জনতা কারফিউ শুরু হবে। আসুন, আমরা সবাই এই কারফিউতে সামিল হই, যা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি যোগাবে। আমরা এখন যে পদক্ষেপ নিচ্ছি, তা আগামীতে সাহায্য করবে। ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।'
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৮৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩২ জন, মারা গেছেন অন্তত চারজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্য দেশের মতো কোভিড-১৯ বিস্তারের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ভারত। এ সংক্রমণ এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে খুব শিগগিরই আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে সেটি।
করোনা প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্যে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। গুজরাটের অন্তত চারটি শহর আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত অবরুদ্ধ ঘোাষণা করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাজস্থান অবরুদ্ধ ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে আন্তঃরাজ্য বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শহুরে বাসিন্দাদের এখনই গ্রামে না যেতে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত সরকার। পাশাপাশি বাস, ট্রেনসহ যে কোনও জায়গায় ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
ভারতজুড়ে বিয়ের অনুষ্ঠান, সব স্থানীয় নির্বাচন আপাতত স্থগিত করা হযেছে। করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার ও পরিচ্ছন্নতা বজার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
In a few minutes from now, the #JantaCurfew commences. Let us all be a part of this curfew, which will add tremendous strength to the fight against COVID-19 menace. The steps we take now will help in the times to come. Stay indoors and stay healthy. #IndiaFightsCorona pic.twitter.com/11HJsAWzVf
— Narendra Modi (@narendramodi) March 22, 2020সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, রয়টার্স
কেএএ/পিআর