দেশজুড়ে

গাজীপুরে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলের চিকিৎসক কোয়ারেন্টাইনে

করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়ায় গাজীপুরে এক চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ওই চিকিৎসক গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাকে প্রথমে হাসপাতালের একটি কেবিনে ও পরে বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

Advertisement

ওই হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি (চিকিৎসক) কয়েকদিন আগে দুবাই থেকে আসা এক প্রবাসীর চিকিৎসা দেন। এরপর থেকে তিনি জ্বর, কাশি ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হন। শনিবার সকালে হাসপাতালে ডিউটিতে আসার পর তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা অবনতি দেখা দিতে থাকে। পরে ওই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত মনে করে নিজেই কোয়ান্টেইনে যাওয়ার কথা বলেন। পরে তাকে হাসপাতালের একটি কেবিনে রাখা হয়। দুপুরের পর তাকে বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে পরিচালক জানান। তাকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এর মধ্যে আর কোনো সমস্যা না হলে বাইরে বের হওয়ার ছাড়পত্র দেয়া হবে। গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, জেলায় শনিবার পর্যন্ত ১০৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার জন্য সব রকম চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

অপরদিকে, নগরীর টঙ্গীতে বিদেশ ফেরত অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বিদেশ ফেরত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হলেও হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে চলাফেরা করছেন তারা।

তালিকা অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে বিদেশ ফেরত ১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন দেয়া হলেও তারা অনেকটা আড্ডা, পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া আর বিভিন্ন মার্কেটে কেনাকাটার মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। হোম কোয়াইন্টাইনপ্রাপ্ত একাধিক প্রবাসী জানান, আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি। আমাদের কোনো রোগ নেই।

Advertisement

এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি আছে। আইন ভঙ্গ করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।

আমিনুল ইসলাম/এমএএস/এফআর