পুরো বিশ্বে এখন করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইতালি। আয়তনে চীনের তুলনায় ছোট হলেও মৃতের সংখ্যায় চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে আটকে রয়েছেন মেয়েটি। মেয়ের জন্য দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে বুক ফাটছে বাবার। ‘বড় অসহায় লাগছে।’ ফেসবুকে পোস্ট করে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে বাবা। সেই সঙ্গে একজন সচেতন নাগরিকের পরিচয়ও দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
তার সেই ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গেছে, গত বছরই রসায়নে পিএইচডি করতে ভারত থেকে ইতালি যান তার মেয়ে। কিন্তু গোটা বিশ্বে করোনা যে এভাবে প্রভাব বিস্তার করবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি ও তার পরিবার। তবে মেয়ে সাহসী। তাই করোনা বিশ্বের দরবারে মাথাচাড়া দিলেও মেয়েকে তিনি বাড়ি ফেরানোর কথা মাথায় আনেননি।
মেয়েও ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। পরবর্তীতে যখন এই মরণ ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তখন মেয়েকে বাড়ি ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য মেয়ের ফেরা হয়নি। তাছাড়া বাবা চাননি, এমন সংকটজনক মুহূর্তে মেয়ে বিদেশ থেকে ফেরায় অন্য কারও সমস্যা হোক।
এখন পর্যন্ত লকডাউনে আছে ইউরোপের দেশ ইতালি। ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ। তবে এসবের মধ্যে স্বস্তি একটাই। সরকার দেশের জনগণের প্রতি অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল। মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনের যাবতীয় ওষুধ, খাদ্যসামগ্রী, পানীয়, পোশাক ইত্যাদি প্রত্যেকের ঘরে ঠিক মতো পৌঁছে দিচ্ছে। জনসাধারণের ঘর থেকে বেরনোর দরকারও হচ্ছে না। তার মেয়ের ঘরে এখনও দুই মাসের খাদ্য মজুত আছে।
Advertisement
শনিবার পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৮৩ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মারা গেছেন অন্তত চারজন। মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ভারতে করোনাভাইরাসের সুনামি বয়ে যেতে পারে। দেশটিতে অন্তত ৩০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তারা।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর দেশটির হুবেই প্রদেশের উহানে নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে অন্তত ৩ হাজার ২৫৫ জনের প্রাণহানি এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৮ জন। বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৬৮ এবং মারা গেছেন ১১ হাজার ৮২৯ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৯৩ হাজার ৫৩৫ জন।
এমআরএম/এমকেএইচ
Advertisement