নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
Advertisement
শনিবার (২১ মার্চ) ডিএনসিসি বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজারে একযোগে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
করোনাভাইরাস উদ্বেগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। ফলে জনসাধারণের ভোগান্তি নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অঞ্চল-৪ আওতাধীন দুটি বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহা বিনতে সিরাজ। অভিযানে প্রায় সব দোকানে মূল্য তালিকা পাওয়া যায় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সঠিক দামেই বিক্রয় হতে দেখেন।
Advertisement
তবে কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা অভিযোগ করেন যে, তাদের কেনা দাম বেশি। এরই প্রেক্ষিতে বড় পাইকারি বাজারে আড়তেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি। এ সময় মূল্য তালিকা না থাকায় ও বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-১১ বাজার, পল্লবীর মসলিন বাজার এবং মিরপুর-১ বাজারে দ্রব্য মূল্যের ন্যায্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোসলিনা পারভীন। এ সময়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে চাল বিক্রি এবং ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় চার চাল ব্যবসায়ী ও এক পেঁয়াজ ব্যাবসায়ীসহ মোট পাঁচজনকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করার মুচলেকা নেয়া হয়।
অপরদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক- গ্লাভস ব্যবহার ও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে জনসচেতনতা তৈরির জন্য কারওয়ান বাজার ও তেজগাঁও নাখালপাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিনিয়া জিন্নাত। এ সময় কারওয়ান বাজারের চাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, মসলা, আলু ও কাঁচাবাজার এলাকায় পণ্য বেশি দামে বিক্রি ও মূল্য তালিকা সঠিক দামে প্রদর্শন না করায় ৯ ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন অংকের মোট ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বাজার কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে বাজারের সকলের মাস্ক, গ্লাভস ও স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন থাকা এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা নিশ্চিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকার বাজারে দ্রব্যমূল্য বেশি রাখায়, মূল্য তালিকা অপ্রদর্শন ও ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় ৯ দোকান ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন পরিমাণে মোট ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
এএস/এএইচ/জেআইএম