দেশজুড়ে

কামরুলকে আনতে সৌদি যাচ্ছেন ৩ পুলিশ

সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি কামরুল ইসলামকে ফিরিয়ে আনতে রাতে সৌদি আরব যাচ্ছেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল করিমের নেতৃত্বে সিলেট মহানগর পুলিশের দুই সদস্য রোববার রাতে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এই তিন পুলিশ কর্মকর্তা ইন্টারপোলের মাধ্যমে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনবেন। এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমতউল­াহ জাগো নিউজকে বলেন, রোববার রাতে তাদেরকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাত ২টার ফ্লাইটে তারা সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।তিনি আরো জানান, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে আসামি কামরুলকে নিয়ে দেশে ফেরার কথা রয়েছে। রাজনকে হত্যার পরপরই সৌদি আরব পালিয়ে যান ঘটনার মূলহোতা কামরুল ইসলাম। তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বর্তমানে রিয়াদে আটক অবস্থায় রয়েছেন কামরুল। সৌদি সরকারও তাকে ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয়েছে।কামরুলকে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের তিন সদস্যকে সৌদি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতর। সিলেট মহানগর পুলিশের অন্য দুই কর্মকর্তারা হলেন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল­াহ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন। তাদেরকে সৌদি আরব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ সদর দফতর। সৌদি আরর যাতায়াত বাবদ প্রায় চার লাখ টাকা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ হয়েছে বলেও জানা গেছে।প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাওয়ে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে। পেটানোর দৃশ্য নিজেরাই ভিডিওচিত্রে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন ঘাতকরা। সে ভিডিও দেখে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।আলোচিত এই হত্যা মামলার বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এ পর্যন্ত ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সৌদি পলাতক কামরুল ইসলামসহ ১৩ জনকে আসামি করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। এদের মধ্যে ১০ জন আটক রয়েছেন। কামরুলসহ তিনজন এখনো পলাতক রয়েছেন।কারাবন্দি থাকা ১০ আসামির মধ্যে আটজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রত্যেকেই রাজনকে হত্যার জন্য কামরুলকে দায়ী করেছেন। কামরুলের নির্দশেই তারা রাজনকে নির্যাতনে অংশ নেন বলে সাক্ষ দেন অভিযুক্তরা।রোববারও আদালত চত্বরে উপস্থিত সাংবাদিকদের রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কামরুল ইসলামে ফিরিয়ে না আনায় আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। তাকে ফিরিয়ে আনা না গেলে ন্যায় বিচার সম্ভব হবে না।ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি

Advertisement