কয়েক দিন ধরে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তবে দেশটিতে বিদেশ ফেরতদের করোনা সংক্রমণের ঘটনা বাড়তে থাকায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
Advertisement
শনিবার দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে স্থানীয়ভাবে করোনা সংক্রমিত কোনও রোগী পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে; তিন দিন ধরেই স্থানীয় সংক্রমণ একেবারে শূন্যের কোটায়।
দেশটিতে বিদেশফেরত করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। শুধু শুক্রবারই দেশটিতে নতুন করে ৪১ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ; যাদের সবাই বিদেশফেরত। আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ জন বেইজিং এবং ৯ জন সাংহাইয়ের বাসিন্দা।
এ নিয়ে দেশটিতে বিদেশফেরত করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৬৯ জনে পৌঁছেছে। ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মোকাবিলায় ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করায় অনেক চীনা নাগরিক ও শিক্ষার্থী দেশে ফিরে আসছেন। বিদেশফেরতদের অনেকের শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে।
Advertisement
বিদেশফেরতদের মাধ্যমে স্থানীয় কমিউনিটির মধ্যে এখনও কেউই করোনা সংক্রমিত হননি বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। প্রথম ধাপের ভয়াবহ ধাক্কা সামলে ওঠা চীনে নতুন করে করোনা সংক্রমণ যাতে না ঘটে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর দেশটির হুবেই প্রদেশের উহানে নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে অন্তত ৩ হাজার ২৫৫ জনের প্রাণহানি এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৮ জন।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহানে নতুন করে কোনো রোগী না পাওয়ায় এবং আক্রান্তদের সবাই সুস্থ হয়ে ওঠায় বৃহস্পতিবার ৪২ হাজার চিকিৎসক ও নার্স ফিরে গেছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর দেশটির ৩০টি প্রদেশ থেকে এই ৪২ হাজার চিকিৎসক এবং নার্সকে উহানে মোতায়েন করা হয়।
সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
Advertisement
এসআইএস/এমকেএইচ