করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তারা দুজনই কুইন্সের বাসিন্দা ছিলেন। দেশটির এস্টোরিয়া এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব একজন গত বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। হার্টের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
Advertisement
অন্যজন কুইন্সের উডসাইডের বাসিন্দা ছিলেন। পেশায় গ্রিন ক্যাবের চালক ছিলেন। তার বয়স ৫০ বছর। করোনাভাইরাস এখন নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অনেক বাংলাদেশির এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর লোকমুখে শোনা গেলেও ঠিক কতজন বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন, সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারসহ বিভিন্ন সূত্র শুধু আক্রান্ত ও মৃত মানুষের প্রকৃত সংখ্যা জানাচ্ছে। আক্রান্ত ও মৃত মানুষের পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া কঠিন। নিউইয়র্কের একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে ২১ জন বাংলাদেশি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে সংকটময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, বলছেন কমিউনিটি নেতারা। সর্বশেষ করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭৫ জন এবং আক্রান্ত ১৯ হাজারের বেশি।
Advertisement
বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১১ হাজার ৩৯৮ জন। তবে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৯১ হাজার ৯১২ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই চীনের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
তবে গত কয়েকদিনে এই চিত্র বদলে দিয়েছে ইতালি। গত কয়েক মাসে চীন যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে ঠিক একই রকম পরিস্থিতি এখন ইতালিতে। বরং চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যায় চীনসহ অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২১। সেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৮৬। দেশটিতে গত একদিনেই মারা গেছে আরও ৬২৭ জন। এ পর্যন্ত একদিনে করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড এটা।
Advertisement
এমআরএম/জেআইএম