রাজধানীর দিয়াবাড়িতে রাজউকের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের (আবাসিক) একটি ভবনে করোনাভাইরাসের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার।
Advertisement
শনিবার (২১ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সরকার নতুন যেখানে জায়গা দেবে, সেখানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সন্দেহভাজনদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য সরকার রাজউকের ওই প্রকল্পের ভবনে সেন্টার স্থাপনে উদ্যোগ নিলেও এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এলাকাবাসী। শুক্রবার (২০ মার্চ) এলাকার প্রায় শতাধিক লোক রাস্তায় অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। আতঙ্কিত এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, আবাসিক এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপিত হলে স্থানীয়রা ঝুঁকিতে পড়বেন।
তাদের ওই প্রতিবাদ কর্মসূচির পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল। একটি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপনের মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়।
Advertisement
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। এতে এতে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১১ হাজার ৪১৭ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯১ হাজার ৯৫৪ জন।
বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন একজনই।
আইইডিসিআর বাংলাদেশে সংক্রমণের যে তথ্য দিচ্ছে, এতে দেখা যাচ্ছে, প্রবাসফেরত বা তাদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিরা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু অনেক প্রবাসফেরতকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাচ্ছে না। আশকোনায় হজক্যাম্পে এ নিয়ে হট্টগোলও বেধেছিল। এই পরিস্থিতিতে সন্দেহভাজনদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার দায়িত্ব দেয়া হয় সেনাবাহিনীকে। গত ১৯ মার্চ আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তৃতির সম্ভাব্যতা এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুইটি কোয়ারেন্টাইনের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। সেগুলো হলো- বিমানবন্দর সংলগ্ন হজক্যাম্প এবং উত্তরার দিয়াবাড়ি সংলগ্ন রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট কোয়ারেন্টাইন।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গকে বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন শেষে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Advertisement
জেপি/এইচএ/এমএস