ইসলামের অন্যতম সেরা ৩ মসজিদের একটি মদিনার মসজিদে নববি। মহামারি করোনার কারণে সৌদি আরবের অন্যান্য মসজিদগুলোতে নামাজ বন্ধ থাকলেও মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে সংক্ষিপ্ত সময়ে আদায় করা হয় নামাজ। মসজিদে নববি মুসল্লি শূন্য হয়ে যাওয়ায় খোতবা ও নামাজে অঝোর ধারায় কাঁদলেন মদিনার মসজিদে নববির ইমাম শায়খ ড. আহমাদ। হারামাইন ডট ইনফোর ভিডিও-
Advertisement
প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ ইতিমধ্যে বড় গণজমায়েত বন্ধের ফতোয়া দিয়েছেন। সে আলোকে সৌদি আরবও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ব্যাপক জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে। ফলে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিও মুসল্লি শুন্য হয়ে পড়েছে।
এছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে পবিত্র মক্কায় ওমরাহ এবং মদিনার জেয়ারত বন্ধও বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা ছাড়া সৌদি আরবের অন্যান্য অঞ্চলের কোনো মানুষও এ দুই পবিত্র স্থানে উপস্থিত হতে পারছে না।
শুক্রবার স্বল্প পরিসরে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাত্র ১৫ মিনিটে মক্কার মসজিদে হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববিতে জুমআ পালিত হয়েছে। নামাজেও কান্নায় ভেঙে পড়েন মদিনার খতিব-
Advertisement
এ সপ্তাহে মদিনার মসজিদে নববিতে জুমআর নামাজের খতিবের দায়িত্ব পালন করেন শায়খ ড. আহমাদ ইবনে তালিব ইবনে হুমাইদ। খোতবা দেয়ার সময় তাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়।
মসজিদে নববি সব সময় লাখো মুসল্লির পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকে। সে মসজিদে নববিতে মুসল্লির হাহাকার। অল্প কিছু মুসল্লির সামনে খোতবা দিতে গিয়েই আবেগে কেঁদে ওঠেন খতিব আহমাদ। তিনি খেতাবায়ও এ মাহামারি থেকে বিশ্ব মানবতাকে হেফাজত করতে আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে দোয়া করেন। মসজিদে নববিসহ বিশ্বের সব মসজিদে আবার প্রাণ ফিরে পাওয়ার ও ইবাদত-বন্দেগির পরিবেশ তৈরি হওয়ার জন্যও তিনি দোয়া করেন।
মসজিদে নববির ইমামের কান্নার এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদে নববির প্রবীণ ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আলি ইবনে আব্দুর রহমান আল হুজাইফিসহ অল্প কয়েকজন মুসল্লি শায়খ আহমাদ বিন তালিব হামিদের ইমামতিতে মসজিদে নববিতে জুমআর নামাজ আদায় করছেন। খোতবার মতো নামাজেও তিনি হুঁ হুঁ করে কাঁদতে থাকেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সৌদি আরব ওমরাহ পালন ও মসজিদে নববির জেয়ারত স্থগিত করে দিয়েছেন। ওয়াল্ডওমেটার ডট ইনফোর তথ্য মতে, সৌদি আরবে ৩৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭৪ জন। ১১ হাজার ৪১৭ জন মারা গেছে। ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে ৯১ হাজার ৯৫৪ জন।
Advertisement
এমএমএস/এমএস