তথ্যপ্রযুক্তি

করোনা আতঙ্কে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ যোগাযোগ বাড়ছে

বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১১ হাজার ৩৯৮ জন। তবে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৯১ হাজার ৯১২ জন।

Advertisement

করোনা আতঙ্কে ঘরবন্দি রয়েছে অনেক মানুষ। ফলে বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য বাড়ছে হোয়াটস অ্যাপ এবং ফেসবুক মেসেঞ্জার কলিং। তবে এটি ফেসবুকের জন্য মোটেও ভালো খবর নয়।

ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন, হোয়াটস অ্যাপ-ফেসবুক যে কোনো সময়ে মুখ খুবড়ে পড়তে পারে।

আতঙ্কিত মানুষ একাধিক শহরে প্রচুর পরিমাণে হোয়াটস অ্যাপ মাধ্যমে কল করছেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, মানুষ সবচেয়ে বেশি হোয়াটস অ্যাপ কলিং ব্যবহার করছেন ইতালিতে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবের আগে যে পরিমাণ হোয়াটসঅ্যাপ কল করা হতো এখন তার সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে।

ডাক্তার এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাও হোয়াটস অ্যাপ কলিং-এর মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

তবে মার্ক জুকারবার্গ নিশ্চিত করেছেন, ফেসবুক এবং হোয়াটস অ্যাপে যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিশ্বে সাধারণত বছরের প্রথম দিনের সন্ধ্যায় সবচেয়ে বেশি হোয়াটস অ্যাপ করতে দেখা গিয়েছিল। ওইদিন প্রায় দশ হাজার কোটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ আদান-প্রদান হয়েছিল।

Advertisement

চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহরে উহানের একটি সামুদ্রিক খাবার ও বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে উৎপত্তি হওয়া এ ভাইরাস এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটিতে চীনে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের হার কমতে থাকলেও এসব অঞ্চলে তা লাফিয়ে বাড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এরই মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসকে মহামারি রোগ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীন হলেও এখন বিশ্বের শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

এএ