করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিদেশফেরত ৩৭ জনের মধ্যে ১৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। অপরদিকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় রাজশাহী নগরীতে হংকং প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ।
এদের সকলেই ভারত, সৌদি আরব, ওমান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরেছে জানিয়ে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া জাগো নিউজকে বলেন, ইমিগ্রেশন থেকে পাওয়া তথ্য মতে ৩৭ প্রবাসী মাটিরাঙ্গা ফিরলেও আমরা ইতোমধ্যে ১৫ জনকে শনাক্ত করেছি। অবশিষ্ট ২২ জনের সন্ধানে মাঠে রয়েছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।
বিদেশফেরত ব্যক্তিদের স্ব স্ব বাড়িতে থাকতে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে ইউএনও বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, আগামী ১৪ দিন তাদের বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নির্দেশ উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
এছাড়াও খাগড়াছড়ি সদরে ১১ জন এবং লক্ষ্মীছড়িতে ৩ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এ নিয়ে খাগড়াছড়িতে বিদেশফেরত ২৯ জনকে নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।
অপরদিকে রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, রাজশাহী নগরীতে এক হংকং প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এ জরিমানা করেন।
হংকং প্রবাসী ওই ব্যক্তি গত ১০ মার্চ নগরীতে ফেরেন। কোয়ারেন্টাইন না মেনে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে আসছিলেন তিনি। খবর পেয়ে তার বাড়িতে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কোয়ারেন্টাইন নির্দেশনা উপেক্ষা করে ওই প্রবাসী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। এ অবস্থায় স্থানীয়রা বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবিহিত করেন।
Advertisement
এরপরই ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ওই প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ নিয়ে তার পরিবারকেই সর্তক করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য জানান, গত ১০ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত ৮০৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকেই নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের কোনো উপসর্গ না দেখা দেয়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
গত বৃহস্পতিবারের হিসাবে বিভাগের আট জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ১৮৩ জন।
মজিবর রহমান ভুইয়া/ফেরদৌস সিদ্দিকি/এমএএস/বিএ