দেশজুড়ে

করোনা আতঙ্কে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, চাঁদপুরগামী লঞ্চে উপচে পড়া ভিড়

করোনাভাইরাস আতঙ্কে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসছেন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার (২০ মার্চ) সকালে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী লঞ্চগুলো যাত্রী ছাড়া গেলেও ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসা লঞ্চগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

Advertisement

তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

সকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রী বোঝায় করে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়ছে। ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করা অনেক মানুষ তাদের পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। যদিও করোনা সংক্রমণ রোধে মানুষের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও লঞ্চগুলোতে দেখা গেল উল্টো চিত্র। একে অপরের গা ঘেঁষেই তারা যাত্রা করছেন।

কয়েকজন যাত্রী জানান, ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসছি। কিছু লঞ্চে করোনাভাইরাসের ব্যাপারে যাত্রী সাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান-পানির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তবে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানান তারা।

Advertisement

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে প্রচুর পরিমাণে যাত্রী থাকলেও ঢাকা যাওয়ার যাত্রী কমে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবাই বাড়ি ফিরছেন। ঢাকা যাওয়ার যাত্রী না থাকায় কয়েকটি লঞ্চ তাদের নির্ধারিত যাত্রাও বাতিল করেছে বলে জানান তিনি।

চাঁদপুর বিআইডিব্লিউটিএ- এর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শেখ মো. মাহাতাব উদ্দিন বলেন, লঞ্চে যাতায়াতকারী যাত্রীদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক নৌ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তবে ভাইরাস সংক্রমণ রোধে তাদের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে চাঁদপুরে ১৭১ জন প্রাবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রয়েছেন একজন নারী।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, আর মারা গেছেন একজন।

ইকরাম চৌধুরী/এমএসএইচ/পিআর

Advertisement