করোনাভাইরাসের এ সময়ে শিক্ষার্থীরা বাসার বাইরে অযথা ঘোরাফেরা করলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ দেশের সকল জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবে। বিশেষ কারণ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পার্ক, বিনোদনকেন্দ্রে, রেস্তোরাঁ এবং পর্যটনকেন্দ্রে দেখা গেলে তাদের আটক করে শাস্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Advertisement
জানা গেছে, দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে গত ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারগুলোও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা যাতে বাসায় অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছিল।
অথচ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এ ছুটিকে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকি অনেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণেও যাচ্ছেন সপরিবারে। এদিকে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলেও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, কিছু কোচিং সেন্টার তাদের কোচিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এটি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্বিগ্ন।
Advertisement
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দিনগুলোতে শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অথচ কেউ কেউ অকারণে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বাড়িতে থাকাটা নিশ্চিত করতে আমরা গত ১৮ মার্চ আবারও নির্দেশনা জারি করে সর্তক করে দিয়েছি। তার সঙ্গে ঢাকা মহানগরে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীকে বাসার বাইরে দেখা গেলে অভিভাবক ডেকে জরিমানা ও সর্তক করে বাসায় পাঠাতে বলা হয়েছে।’
অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন পর্যটক স্থান থেকে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বেশ কিছু অভিভাবকদের কাছে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকাসহ দেশের সকল জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। পাশাপাশি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার খোলা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এমএইচএম/এফআর/পিআর
Advertisement