পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মনে করা হয় তাকে। বিশ্ব ক্রিকেটে কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার সামর্থ্য সবটাই ছিল উমর আকমলের। কিন্তু নিজের আচরণ আর কর্মকাণ্ডে আজ তিনি হারিয়ে যাওয়ার পথে।
Advertisement
একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডে নিজেকে ‘ক্রিকেটের ব্যাডবয়’ হিসেবে পরিচিত করে তুলেছেন পাকিস্তানি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ ফিজিওর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে সাময়িক নিষিদ্ধ হন। পরে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ রয়েছে।
এবার নতুন খবর। ক্রিকেট দুর্নীতিতে জড়িয়ে আজীবন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন উমর আকমল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এন্টি করাপশন কোডের দুটি ধারা ভঙ্গ করেছেন আকমল।
আকমল পিসিবির সতর্কবাণীর পরও অকারণে সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের কাছে দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি বিস্তারিত জানাতে দেরি করেছেন। এর শাস্তি হতে পারে ছয় মাস থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা।
Advertisement
২৯ বছর বয়সী উমর আকমল পাকিস্তানের হয়ে ২২১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আকমল ভাইদের মধ্যে ছোট এই সদস্য গত ফেব্রুয়ারিতে সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন। মূলত দুর্নীতি বিষয়ে তদন্তের স্বার্থেই তাকে এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এখন তিনি দোষী দুটি ধারা ভঙ্গের অপরাধে।
এর আগে ২০১৮ সালে টিভি চ্যানেলে এসে ফিক্সিং ইস্যুতে বোমা ফাটিয়েছিলেন আকমল। বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বকাপের সময় দুটো বল ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আমাকে তারা (জুয়াড়ি) দিতে চেয়েছিল ২ লাখ ডলার।’
আকমল অবশ্য দাবি করেছিলেন, এমন প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দেন। এরপর পিসিবির এন্টি করাপশন কর্মকর্তারা তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ২০১৯ সালেও আকমল কানাডা গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন বলে জানা যায়।
Advertisement
এমএমআর/পিআর