হঠাৎ করেই উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয় বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। আর ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে প্রায় ৩০০-৩৫০ টাকা। বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে। আর এ সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা চালের দাম বৃদ্ধি করেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
Advertisement
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘প্রতি বছরের এ সময়ে বোরো ধান ঘরে ওঠার আগে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। চালের দাম সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যখন সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী তখন চালের দাম সামান্য বৃদ্ধি পেলে কোনো সমস্যা হবে না।’ তবে দামের সঙ্গে করোনার কোনো প্রভাব নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫- ৩৪/৩৫ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৩০ টাকা; জিরাশাইল ৪৮ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৪৬ টাকা; আটাশ ৪০ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৩৮ টাকা; মিনিকেট ৫৪ টাকা, যা পূর্বে ছিল ৪৮টাকা; কাটারি ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালে ৪-৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৫০ কেজি ওজনের বস্তা স্বর্ণা-৫ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ টাকায়, যা আগে ছিল ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা; জিরাশাইল ২২৫০ টাকা থেকে ২৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৯০০ থেকে ২০০০টাকা; কাটারি ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা, যা আগে ছিল ২২০০ থেকে ২ ৩০০ টাকা; মিনিকেটও বেড়েছে ৩০০-৩৫০ টাকা।
Advertisement
সদর উপজেলার শেরপুর গ্রামের সামসুদ্দিন জানান, তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাতজন। প্রতিদিন তিনবেলা খেতে প্রায় ৩ কেজি চাল লাগে। বাড়িতে একটু চাল আছে। স্বর্ণা-৫, ৩৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি চাউল ৭০ টাকায় কিনেছেন। কিছুদিন আগে যে চাল ৩০ টাকায় কিনেছিলেন তিনি। এখন তা ৩৫ টাকায় কিনতে হয়েছে। কেজিতে ৪/৫ টাকা বাড়ায় সংসার চালাতে তার হিমশিম খেতে হবে বলেও জানান।
খুচরা চাল বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে ধান চালের অভাব নেই। মজুতদাররা বেশি লাভের আশায় দাম বাড়াচ্ছেন। করোনা যেখানে সারা বিশ্ব থমথমে, সেখানে দেশের বাজারের চালের দাম অস্থির। প্রশাসনের উচিত বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা।’
নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, ‘মোকামে চাল সংকট। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় যানবাহন কম চলাচল করছে। মৌসুমের শেষ সময় এবং করোনার প্রভাব এ সব মিলে বাজারে চালের দামে প্রভাব পড়েছে।’
নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছুদিন আগে লবণ কাণ্ড ঘটেছিল। তবে প্রতি বছরের এই সময়ে বাজারে একটু চালের দাম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে শিগগিরই বাজারে অভিযানে নামব।’
Advertisement
এফআর/পিআর