জাতীয়

করোনা আতঙ্কেও জুমার নামাজে মুসল্লিদের ঢল

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশে। ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশও এ থেকে রক্ষা পায়নি। করোনার কারণে মসজিদে নামাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত না হলেও সংক্রমণ এড়াতে মুসল্লিদের বাসায় অজু করে সুন্নত নামাজ পড়ে জুমা আদায়ে মসজিদে আসার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

Advertisement

করোনার কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তি ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ যেকোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বা জনসমাগমে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ের কেবিনেট ডিভিশন থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

তবে শুক্রবার (২০ মার্চ) মসজিদে মসজিদে জুমা নামাজে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নামে। করোনায় যেন বাংলাদেশ সুরক্ষিত থাকে সে কামনায় জুমার নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

Advertisement

বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত খতিব মুফতি মাওলানা এসানুল হক জিলানী। মোনাজাতে বিশ্বের সব দেশকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের আরোগ্য কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। মোনাজাতের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সাধারণ মুসল্লিরা।

বাইতুল মোকাররমে নামাজ শেষে উত্তর গেটে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে দোআ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসতেগফার পাঠ ও আল্লাহর কাছে তওবা করে কোরআনের পথে ফিরে আসার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদের ইমাম ও খতিবরা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া করেন।

শুক্রবার (২০ মার্চ) ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আনিস মাহমুদ এক বার্তায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বাসায় অজু করে সুন্নত নামাজ পড়ে মুসল্লিদের জুমা আদায়ে মসজিদে আসতে বলেন।

বার্তায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় এর সংক্রমণ এড়াতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের জনসমাগম পরিহারসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া যারা বিদেশফেরত জ্বর-হাঁচি কাশিতে আক্রান্ত ও অসুস্থ ব্যক্তি, তাদের মসজিদে বা জনসমাগমে যাওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ বার্তায়।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন একজন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সৌদি আরবসহ অনেক মুসলিম দেশ মসজিদের বদলে ঘরে নামাজ আদায়ে উৎসাহিত করছে।

জেইউ/এএইচ/এমএস