আন্তর্জাতিক

করোনা : যুক্তরাষ্ট্রে এলো নতুন আইন, বিনামূল্যে করা যাবে পরীক্ষা

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো সনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। সেখানে পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে ভালো হলেও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে ইতালিতে। চীনের প্রায় দুমাস পর করোনাভাইরাস ইতালিতে প্রবেশ করে ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে চীনের মৃত্যুসংখ্যা।

Advertisement

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এখনও পর্যন্ত সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪০ জনের বেশি। এরই মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন আইন আনলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় মতে বুধবার করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই আরও তীব্র করে ‘ফ্যামিলিস ফার্স্ট করোনা ভাইরাস রেসপন্স অ্যাক্ট’ ৯০-৮ ভোটে পাস করে মার্কিন সিনেট। কয়েক ঘণ্টা পরই সেই বিলে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্পের স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়েই আইনে পরিণত হয়েছে বিলটি।

নতুন আইনের ফলে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুবিধা পাবেন নাগরিকরা। এছাড়াও, আক্রান্ত ও তাদের পরিচর্যায় থাকা ব্যক্তিরা বেতনসহ ছুটি পাবেন। করোনা রুখতে এর আগে ৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ত্রাণ তহবিল মঞ্জুর করেছিল মার্কিন সংসদ।

Advertisement

করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশবাসীকে সাহস দিতে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বে যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আর এই যুদ্ধে আমরা জিতবোই।” গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সেটাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রথম মৃত্যু।

করোনার চিকিৎসায় ক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমোদনপ্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ানিরোধী ওষুধ ক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে এই ওষুধ বাজারজাত করতে পারবো এবং এখানেই এফডিএ (খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন) এত দুর্দান্ত।

ট্রাম্প বলেন, ওষুধটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনেক অনেক মাস থেকে তারা (এফডিএ) এটা তৎক্ষণিক পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। আমরা এখন থেকে ওষুধটি প্রেসক্রিপশনে রাখতে পারবো।

প্রকোপ থাকতে পারে আগস্ট পর্যন্তবিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে আগেই। গত শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ জরুরি অবস্থা ঘোষণা দেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কার্যক্রমে পুরোপুরি অচলাবস্থা (ফুল শাটডাউন) নেমে আসতে পারে বলেও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমনকি করোনার কারণে দেশটিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা দুই মাস পর্যন্ত চলতে পারে

Advertisement

এনএফ/এমএস