দেশজুড়ে

বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেলে ঘণ্টাব্যাপি চিকিৎসা সেবা বন্ধ

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রে নিহত মাহামুদুল হাসান মামুনের মরদেহ আনতে বিলম্ব করায় বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে প্রায় এক ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় হাসপাতালে থাকা রোগীদের চিকিৎসা সেবাও বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনকি জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা কোন রোগীকে হাসপাতালে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, ৪৫ তম ব্যাচের ছাত্র মামুন গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কুয়াকাটা সমুদ্রে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পর গত শনিবার কুয়াকাটার লেঙ্গুরচর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।কিন্তু মেডিকেল ক্যাম্পাসে মরদেহ পৌঁছতে বিলম্ব হওয়ায় ভোরে হাসপাতালের প্রধান তিনটি গেইটে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেলের ছাত্ররা তালা ঝুঁলিয়ে দেন। এ সময় হাসপাতালে থাকা ১২০০ রোগীর চিকিৎসা সেবাও বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনকি জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা কোন রোগীকে হাসপাতালে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।পরবর্তীতে হাসপাতালের পরিচালক ও কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ৩টার পর কলাপসিবেল গেটে তালা খুলে দেয়ার পর চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিজামউদ্দিন ফারুক জানান, মামুনের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কলাপাড়া পুলিশ আটকে দেয়। এ কারণে মরদেহ শনিবার ক্যাম্পাসে আনা সম্ভব হয়নি। কলাপাড়া থানার সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোববার সকালে মরদেহ ক্যাম্পাসে আসার পর জানাজা শেষে স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে যান।সাইফ আমীন/এআরএ/আরআইপি

Advertisement