করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পটুয়াখালীতে কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসন। অন্য জেলার বাসিন্দাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা থেকে পটুয়াখালীগামী লঞ্চে আগত যাত্রীদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়ায় চার পর্যটককে প্রবেশে বাধা দেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকালে পটুয়াখালী নদীবন্দর টার্মিনালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান এ অভিযান পরিচালনা করেন।
গতকাল বুধবার (১৮ মার্চ) রাতে জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীগামী লঞ্চে আগত যাত্রীদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া অন্য কাউকে জেলায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। অন্য জেলার নাগরিক হলে বিকেলে একই লঞ্চে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া বলবৎ থাকবে।
আগত পর্যটক শাহরিয়ার মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, আমরা চার বন্ধু কুয়াকাটা ভ্রমণে যাব বলে বাসা থেকে বের হই। এজন্য গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় সদরঘাট থেকে জামাল-৫ লঞ্চে পটুয়াখালী পৌঁছাই। সকালে প্রশাসন আমাদের পরিচয় জানতে চায়। আমরা পরিচয় দিলে তারা জানান, কুয়াকাটা অবস্থান করা যাবে না। আমাদের সুন্দরবন লঞ্চে ঢাকা পাঠানো হবে।
Advertisement
‘আমরা বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিকল্প পথে সকালে বরিশাল চলে আসি। বর্তমানে আমরা এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছি।’
সুন্দরবন লঞ্চের স্টাফরা জানান, নদীবন্দর কর্মকর্তার নির্দেশে আগত চার পর্যটকের নামে ২০৬ ও ২২০ নম্বর কেবিন বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু তারা সকালে নাস্তা খাবার কথা বলে বের হলে এখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি।
পটুয়াখালী নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে আজ সকালে ডাবল ডেকার এমভি জামাল-৫ লঞ্চে ঢাকা থেকে আগত চার পর্যটক জেলার নাগরিক না হওয়ায় তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
চার পর্যটক বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা। তাদের বিকেলে সুন্দরবন-১৪ লঞ্চে ঢাকায় পাঠানো হবে।
Advertisement
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএআর/জেআইএম