জাতীয়

করোনা টেস্ট কিট ও পিপিই কোনো কিছুরই অভাব নেই

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়টিকে সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে। সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কিট ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত চিকিৎসক-নার্স কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুসারে পার্সোনাল প্রটেকশন (পিপিই), কোনো কিছুরই অভাব হবে না।

Advertisement

তিনি বলেন, রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতীয় কোনো দুর্যোগে সর্ববৃহৎ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষটি সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে। রাজধানীসহ সারা দেশে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো ক্ষেত্রেই অবহেলা দেখানো হচ্ছে না, বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, বরিশাল ব্যতীত দেশের বিভিন্ন বিভাগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার পরীক্ষাগার রয়েছে। আমরা আগেও বলেছি প্রয়োজনে আইইডিসিআরের বাইরের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হবে। অনেকেই অনেক কথা বলতে পারেন, কিন্তু এই ল্যাবরেটরিগুলোতে পরীক্ষার নমুনা পরীক্ষার জন্য কিছুটা প্রস্তুতিরও প্রয়োজন রয়েছে।

Advertisement

ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে ব্যাকআপ সুবিধার জন্য অতিরিক্ত ১৬টি পিসিআর মেশিনের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছিল। ইতোমধ্যে সাতটি মেশিন পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, প্রতিদিনই নমুনা পরীক্ষার জন্য কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। চীন থেকে ২/১ দিনের মধ্যে টেস্ট কিট ও পিপিই আসবে।

এমইউ/এমএসএইচ/পিআর

Advertisement