আন্তর্জাতিক

ইতালিতে ২৬২৯ মেডিকেল কর্মী করোনায় আক্রান্ত

ইতালিতে ২ হাজার ৬২৯ মেডিকেল কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে, সেখানকার অবরুদ্ধ (লক ডাউন) পরিস্থিতি এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দেশটিতে যত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে ৮ দশমিক ৩ শতাংশই চিকিৎসক এবং নার্স।

Advertisement

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকায় চীনের পরেই রয়েছে ইতালি। চীনে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৯২৮ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৪৫ জন। অপরদিকে, ইতালিতে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৭১৩ জন।

একটি হেলথ ফাউন্ডেশন সম্প্রতি ইতালিতে চিকিৎসকদের আক্রান্তের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রচুর পরিমাণে মেডিকেল কর্মীদের আক্রান্তের বিষয়টি এটাই দেখাচ্ছে যে, সেখানে চিকিৎসকদের সুরক্ষার সরঞ্জাম ও বিভিন্ন পদ্ধতি পর্যাপ্ত নয়।

ইতালির পরিস্থিতি এখন চীনের চেয়েও খারাপ। চীনের মেডিকেল কর্মীদের আক্রান্তের তুলনায় ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন গিমবে ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

করোনাভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপের এই দেশটি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে মারা গেছেন আরও ৪৭৫ জন। এখন পর্যন্ত যেকোনও দেশে করোনায় একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। অপরদিকে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪ হাজার ২০৭ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।

ইতালিতে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লোম্বার্ডি অঞ্চল। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু ওই এলাকাতেই মারা গেছেন ৩১৯ জন।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই অবরুদ্ধ রয়েছে পুরো ইতালি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। জনগণকে আপাতত বাড়ির বাইরে বের না হতে অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ইতালিতে করোনায় মৃত্যুহার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

দেশটিতে স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, দোকান-পাট সব বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মুদি দোকান, ফার্মেসি এই আওতার বাইরে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ওপরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

Advertisement

গত ১২ মার্চ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সে সময় ২৫ মার্চ পর্যন্ত পুরো দেশ অবরুদ্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। অপরদিকে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে বলেছেন, আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত পুরো দেশ অবরুদ্ধ থাকবে।

টিটিএন/পিআর